আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের নির্যাতন-খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে নিয়ে মিলছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল ধৃত সঞ্জয়। পুলিশের এক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিল। তবে, সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়ের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তার প্রতিবেশীরা। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চুরি, জালিয়াতির মতো অভিযোগও তুলছেন কেউ কেউ।
অনেকে বলছেন, সিভিক ভলেন্টিয়ার হলেও, নিজেকে পুলিশ কর্মী বলেই পরিচয় দিয়ে বেড়াত সঞ্জয়। এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পাড়ায় অনেকেই তাকে 'চরিত্রহীন' বলেই জানত। দুর্ব্যবহার, মিথ্যা কথা বলে লোকের থেকে টাকা নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।
২০১৯ সালে চাকরি
জানা গিয়েছে, লকডাউনের পর থেকে আর পাড়ায় থাকে না সঞ্জয়। কোভিডের আগের বছর, ২০১৯-এ সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি পেয়েছিল সে।
হেডফোন থেকেই...
পুলিশ সূত্রে খবর, আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয়েছিল। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিল ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন। ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই অভিযুক্ত সঞ্জয়কে ধরে পুলিশ। অপরাধের ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্লুটুথ ইয়ারফোনের ছেঁড়া টুকরো পাওয়া গিয়েছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সঞ্জয় রায় যখন ভিতরে প্রবেশ করেছিল, তার গলায় হেডফোন অক্ষত ছিল। কিন্তু বের হওয়ার সময় ছিল ছেঁড়া হেডফোন।
এর ভিত্তিতেই দ্রুত সঞ্জয় রায়কে আটক করে পুলিশ। প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেছিল সঞ্জয়। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয় নিজের দোষ স্বীকার করে।
হাসপাতালের বাইরে পুলিশে ছয়লাপ
উল্লেখ্য, হাসপাতালের মধ্য় এই ভয়াবহ ঘটনার পর নিরাপত্তার অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন চিকিৎসকরা। শনিবার সারাদিন কার্যত এমার্জেন্সি বিভাগ বাদে বাকি ডিপার্টমেন্ট স্তব্ধ ছিল। এদিকে চিকিৎসকদের পাশাপাশি শনিবার বাইরে থেকে এসেও হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বহু পড়ুয়া।
রবিবার সকাল থেকেই আরজি কর সপাতাল চত্বরে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রয়েছে RAFI আসছেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা।