বিজেপি করার 'অপরাধে' সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ক্লাব শিয়ালদহ মেন্স বেঞ্চের সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ, আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি নেতা, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোকর্তা সজল ঘোষ। পরে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে।
মারধরের অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৫ অগষ্ট, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি পর্ব চলছিল শিয়ালদহের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ক্লাব শিয়ালদহ মেন্স বেঞ্চের সদস্যদের। অভিযোগ, ঠিক তখনই প্রায় ২০০ জন দুষ্কৃতী তাদের ওপর চড়াও হয় এবং ভাঙচুর করে ক্লাব। ক্লাবের সদস্যদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। লুঠপাঠ করা হয় তাঁদের জিনিসপত্রও।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অভিযুক্তরা শাসকদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি বলে দাবি ক্লাব সদস্যদের। বিজেপি করার অপরাধেই তাঁদের ওপর এই হামলা বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির মূলত কলকাতার পুরসভার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে কান কাটা দেবু এবং তার শাগরেদদের বিরুদ্ধে। তারই দলবল এই তাণ্ডব চালায় বলে ক্লাব সদস্যদের অভিযোগ।
এলাকায় উত্তেজনা
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ জন। এই সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মুচিপাড়া থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ক্লাবে দিনেদুপুরে ভাঙচুর হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে থানার ভূমিকা নিয়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন আক্রান্তরা।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ
অভিযোগ, পুলিশ এলাকায় থাকা সত্ত্বেও কোনও রকম হস্তক্ষেপ করেনি হামলার সময়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতেও ওই ক্লাবের এক সদস্যের ওপর চড়াও হয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ জানালে অভিযোগকারীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানান, সেখানকার বিজেপি নেতার এলাকার মহিলাদের অসম্মান করেছে। তাঁদের কটূক্তি করেছেন। এ নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সজল ঘোষের মদতে এই কাজ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।