Advertisement

Siliguri Murder Case: রেনুকার মুণ্ডু ও দেহ আলাদা ফেলেছিল আনসারুল, তিস্তার খালে দুটোই উদ্ধার

Siliguri Murder Case: শিলিগুড়িতেও শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া, স্ত্রীকে টুকরো করে ক্যানেলের জলে ফেলে স্বামী। পরে নিজেই গিয়ে নিখোঁজ ডায়রি করে। ১৩ দিন পর মিলল স্ত্রীয়ের বস্তাবন্দি মুণ্ডহীন লাশ। শেষমেষ কীভাবে ফাঁস হল গোটা বিষয়টি, আসুন জেনে নিই।

রেণুকা ও তার স্বামী আনসারুল
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 06 Jan 2023,
  • अपडेटेड 4:20 PM IST
  • শিলিগুড়িতেও শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া
  • স্ত্রীকে টুকরো করে ক্যানেলের জলে ফেলল স্বামী
  • পরে নিজেই গিয়ে নিখোঁজ ডায়রি করে

Siliguri Murder Case: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করে জলে ফেলার পর ১৩ দিনের মাথায় স্ত্রীর ধড় ও মুণ্ড উদ্ধার হল।প্রথমে সকালে মুণ্ডহীন লাশের বস্তা হাতে আসে। পরে নিহত রেণুকা খাতুনের মুণ্ডটিও বিকেলের দিকে উদ্ধার করে পুলিশের তল্লাশি টিম। দেহটি দুই টুকরো করে আলাদা বস্তায় ক্যানেলের জলে ফেলা হয়েছিল। যার মধ্যে দেহটি শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে শ্রদ্ধাকাণ্ড! পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে টুকরো করে খালে ফেলল স্বামী

দিল্লির শ্রদ্ধা-আফতাব কাণ্ডের রেশ এখনও মেটেনি। তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি এমন ধরণের ঘটনা সামনে এসেছে। এবার এমনই ঘটনা ঘটল শিলিগুড়িতেও। স্ত্রীকে স্রেফ সন্দেহের বশে খুন করে দেহ দু'টুকরো করে আলাদা বস্তায় ভরে ক্যানেলের জলে ফেলে দেয় স্বামী আনসারুল। পরে আবার নিজেই ভালমানুষ সেজে শ্বশুরের সঙ্গে থানায় গিয়ে স্ত্রী নিখোঁজ বলে অভিযোগ দায়ের করে। যদিও কয়েকদিন তদন্ত করে আনসারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাপ দিতেই খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। 

ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধার দেহ

এরপর তারই দেখানো জায়গায় ক্যানেলে ডুবুরি নামিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে দেহাংশ খোঁজার কাজ শুরু করে পুলিশ। সেদিন আর কিছু মেলেনি। ক্য়ানেলে জল বেশি থাকায় খুঁজতে অসুবিধা হচ্ছিল। পরে লকগেট খুলিয়ে জল কমিয়ে ফের তল্লাশি শুরু হয় এদিন সকালে। এরপরই শুক্রবার সকালে দেহটি খুঁজে পায় পুলিশ টিম। তারপরও তল্লাশি জারি থেকে মুণ্ডের খোঁজে।

এক বন্ধুর সঙ্গে পরকীয়ায় সন্দেহ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রকাশ নগরের বাসিন্দা রেণুকা খাতুন। ছয় বছর আগে তার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনির বাসিন্দা আনসারুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। পেশায় আনসারুল একজন রঙ মিস্ত্রী। ওই দম্পত্তির একটি শিশুও রয়েছে। বিয়ের পর থকে তাদের মধ্যে গোলমাল লেগে থাকতো বলে পড়শিরা জানিয়েছে। তবে বাচ্চা হওয়ার পর তা অনেকটাই কম ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে আনসারুলের দুই বন্ধু তাদের বাড়িতে ঘুরতে যায়। তারপর থেকেই এক বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে সন্দেহ শুরু করে আনসারুল বলে জানা যায়।

Advertisement

সিসিটিভি ফুটেজ

জানা গিয়েছে মাসখানেক আগে রেনুকা শিলিগুড়ির কলেজপাড়ায় বিউটিশিয়ান কোর্সে ভর্তি হয়। রেণুকা বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। গত ২৪ ডিসেম্বর রেণুকাকে পার্লারে নিজেই বাইকে নামিয়ে দেয় আনসারুল। এরপর বিকেল সাড়ে ৩ টা নাগাদ পার্লার থেকে বেরিয়ে যান রেণুকা। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পারে চিলড্রেন পার্ক হয়ে একাই মহাবীরস্থানে যায় সে। তারপর থেকে কোনও ফুটেজে তাঁকে দেখা যায়নি। 

পুলিশি জেরায়  স্বীকার আনসারুলের

রাতে বাড়ি না  ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ২৫ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় শ্বশুরের সঙ্গে গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে আনসারুল। এরপরই তদন্তে নামে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে আনসারুলের উপর সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পেলে তাকে আটক করে ও জেরা শুরু করে। শেষমেশ জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে আনসারুল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় আনসারুল জানায়, ২৪ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রীকে নিয়ে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির গোয়ালটুলি মোড়ের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে খুন করে। এরপর দেহ লোপাটের জন্য মাথা শরীর থেকে কেটে আলাদা করে দেয় এবং দুটি আলাদা বস্তায় ঢুকিয়ে ক্যানেলে ভাসিয়ে দেয়। তবে স্ত্রী সত্যিই পরকীয়ায় জড়িয়েছিল কি না তা জানা যায়নি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement