রাগের মাথায় প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করেছিলাম। দিল্লি কোর্টে জানাল অভিযুক্ত আফতাব। আজ মঙ্গলবার আফতাবের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। বিশেষ শুনানিতে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের তরফে আফতাবকে ফের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। আফতাব বিচারকের সামনে বলে, ‘HEAT OF THE MOMENT' হয়েছে সবকিছু। অর্থাৎ মাথা গরম ছিল, তাই রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছি।
আফতাব আরও কী কী জানায় ?
আফতাব আদালতে বলে, সে তদন্তে সহযোগিতা করছে। লাশের টুকরোগুলো কোথায় ছুঁড়ে ফেলেছে, সেসব তথ্য সে পুলিশকে দিয়েছে। তবে ঘটনার পর কয়েক মাস কেটে যাওয়ায় সে অনেক কিছুই মনে করতে পারছে না। আফতাবের আইনজীবী জানান, অভিযুক্ত ঠিক কোথা থেকে করাতটি কিনেছিল তা তার মনে নেই।
আরও পড়ুন : 'ডিএ পাওয়ার পথ প্রশস্ত হল', ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা?
আফতাব যে পুকুরে শ্রদ্ধার কাটা মাথা ফেলেছিল সেই এলাকার একটা মানচিত্রও তৈরি করা হয়েছে পুলিশের তরফে। এর আগে সোমবার, মেহরাউলি থেকে চোয়াল পেয়েছে পুলিশ। কিছু হাড়ও উদ্ধার হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সেই চোয়াল এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেছে। যাতে নিশ্চিত করা যায় এই চোয়ালটি শ্রাদ্ধের কিনা। দাঁতের চিকিৎসক এই চোয়াল পরীক্ষা শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন : ওজন ছিল ১১৪ কেজি, এখন মাত্র ৫৮; এতটা ওয়েট কীভাবে কমালেন যুবতী? জানুন
নারকো টেস্টের আগে হবে পলিগ্রাফ টেস্ট
সোমবার আফতাবের নার্কো টেস্ট করা যায়নি। আসলে নারকো টেস্টের আগে আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশকে ৫ দিনের মধ্যে আফতাবের নার্কো টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সোমবার দিল্লি পুলিশ আদালতের কাছে আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করার অনুমতি চায়। আফতাবও সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
আফতাব অস্ত্র কোথায় ফেলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে?
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে আফতাব জানিয়েছে, সে শ্রদ্ধার খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি কোথায় ফেলেছিল। গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ ৩-এর ঝোঁপে ফেলেছিল। দিল্লি পুলিশের দল গুরুগ্রামে দুবার ওই ঝোঁপগুলিতে তল্লাশি চালিয়েছে।
১৮ নভেম্বর সেখান থেকে কিছু নমুনাও উদ্ধার করে পুলিশ। যা ফরেন্সিক টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। এর পর, ১৯ নভেম্বর দিল্লি পুলিশ একটি মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে গুরুগ্রামে যায় তবে সেদিন সেখান থেকে সন্দেহজনক কিছুই পাইনি।