Advertisement

ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করে মোবাইলে রেকর্ড, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফুঁসছে বাংলার এই এলাকা

নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যজনের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ। প্রতীকী ছবি- ইন্ডিয়া টুডে/পিটিআই
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 12 Oct 2020,
  • अपडेटेड 1:39 PM IST
  • বারাসতে স্কুলছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ
  • গ্রেফতার ১, অপর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি
  • অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর এলাকাবাসীরা

জানা গিয়েছে, বারাসতের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর উপর দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন চালাত তারই গৃহশিক্ষক। সেই দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করে পরে ব্ল্যাকমেল করত সে। পরে তাতে সামিল হয় ওই শিক্ষকের এক বন্ধুও। দীর্ঘদিন ধরে চলা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, ওই ছাত্রী শেষে বাড়িতে সব জানিয়ে দেয়। তারপরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবারের লোকেরা। 

গ্রেফতার অভিযুক্ত, পলাতক অপরজন

অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৭দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পলাতক অপর অভিযুক্ত। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই কিশোরীকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠাতেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। সেখানেই তার উপর অত্যাচর চালাত সে। পুরো দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করত অপর বন্ধু। তারপর সেই ভিডিও দেখিয়ে ভয়ে চুপ করে রাখা হত কিশোরীকে। কয়েক দিন পরেই ফের শুরু হত ব্ল্যাকমেল। লোক লজ্জার ভয়ে প্রথমে কিছু বলতে পারেনি কিশোরী। তবে বাড়ির কয়েকজনের সন্দেহ হয়। তাঁরা জিজ্ঞাস করাতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে কিশোরী সব জানিয়ে দেয়।

ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা

ঘটনা সামনে আসতেই অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকাবাসী। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। কোনওরকমে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। ওই দুই অভিযুক্তের কড়া শাস্তি চেয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। 

অন্যদিকে, হাবরার এক তরুণী ফেসবুক বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, ফেসবুকে সূত্র ধরে প্রথমে বন্ধুত্ব হলে, পরে তা গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। এরপরেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে পরে ব্ল্যাকমেল করা হত বলেও অভিযোগ। ওই তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।  

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement