ফের উত্তর প্রদেশে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঝাঁসি কলেজের ভিতরে ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে জোর করে নিয়ে যায় এক কলেজ পড়ুয়া। সে সময় সেখানে চলছিল উত্তর প্রদেশ প্রভিন্সিয়াল সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা।
ওই কিশোরী পড়ে দশম শ্রেণীতে। তার অভিযোগ, তাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় কলেজের হস্টেলে। কলেজেরই একদল ছাত্র তাকে তুলে নিয়ে যায়। তার কাছে ছিল হাজার দু’য়েক টাকা। তা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তার ওপর নির্যাতন করা হয়। গোটা ঘটনা রেকর্ড করে রাখা হয়।
জানা গিয়েছে, ওই সময় সেখানে পরীক্ষা চলছিল। ফলে পুলিশ ছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্তম্ভিত সকলে।
ছাত্রীর আরও অভিযোগ, ঘটনার কথা কাউকে বলতে মানা করা হয়েছে। কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। গণধর্ষণ, ডাকাতি-সহ আরও কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছে, ঘটনার আগে সে ছিল কলেজের বাইরে। তার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। কলেজের গেটের কাছে সে দাঁড়িয়েছিল। সেখানে কোনও দ্বাররক্ষী ছিলেন না।
ঝাঁসির এসএসপি দীনেশকুমার পি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৮ জন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকজন পুলিশ কর্মী তার চিৎকার শুনতে পেয়েছিল। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিপরি বাজার পুলিশ স্টেশনে। তার অভিযোগ শোনা হয়। এক অভিযুক্তের নাম ভারত বলে জানিয়েছে ওই ছাত্রী।
পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। ৩৭৬ডি, ৩৯৫, ৩৮৬, ৩২৩, ১২০বি ধারায় মামলা শুরু হয়েছে। পকসো আইনেও অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের নাম রোহিত সৈনি, ভারত কুশওয়াহা, শৈলেন্দ্রনাথ পাঠক, মায়াঙ্ক শিবহরে, বিপিন তিওয়ারি, মোনু পারয়া, ধর্মেন্দ্র সেন এবং সঞ্য় কুশওয়াহা। কলেজের অধ্যক্ষ জানান, তারা দ্বিতায় বর্ষের পড়ুয়া। পুলিশকে তদন্তের কাজে সব রকমের সাহায্য করবে কলেজ।