Dinhata Unknown Murder Case Solved: কয়েক মাস আগে একটি অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার লাশ মিলেছিল। বহু খুঁজেও মেলেনি তথ্য, পরিচয় বা অন্য কোনও সূত্র। কয়েকমাস পার হয়ে যাওয়ার পরও কোনও তথ্য না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছিল হতাশ হয়ে। এখান থেকেই মিলল সূত্র। আর তা থেকে আততায়ীর খোঁজ মিলল জম্মু-কাশ্মীর থেকে। টানটান গল্পের স্ক্রিপ্টের মতোই ঘটনা।
অন্ধগলিতে হাতড়ে দু'মাসের মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় মহিলাকে খুনের কিনারা করল দিনহাটা থানা। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ। তিনি জানান, গত ৪ মার্চ ভেটাগুড়ির ব্রাহ্মণীর চৌকিতে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির লোকজনের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রাজু বর্মন একটি অভিযোগ দায়ের করাে দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। মহিলার দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখেই পুলিশ বুঝতে পারে, এটা ঠান্ডা মাথার খুনের ঘটনা। কিন্তু পরিচয় জানা না থাকায় কোনও ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না।
মহিলার পরিচয় জানতে তাঁর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ওই ছবি দেখেই একজন মৃত মহিলাকে চিনতে পারে। এরপর সেই ব্যক্তি পুলিশকে ফোন করে তথ্য দেন। জানা যায়, ওই মহিলার নাম রেণুবালা বর্মন (৩৬)। বাড়ি বুড়িরহাটের সাহেবগঞ্জে। মৃতার স্বামী ও এক সন্তান রয়েছে। এই তথ্য পাওয়ার পরই বাড়িতে যোগাযোগ করে ফের শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে উঠে আসে, এলাকার যুবক দুলু বর্মনের সঙ্গে ওই মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্প্রতি দুলুর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। সম্ভবত তার জেরেই সে রেণুবালাকে খুন করে জম্মু ও কাশ্মীরে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এরপর দিনহাটা থানার পাঁচ সদস্যের বিশেষ দল জম্মু ও কাশ্মীরে যায়। সেখান থেকে দুলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডের মাধ্যমে তাকে দিনহাটায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছাড়াও এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও ত্রিদিব সরকার, আইসি সুরজ থাপা।