Advertisement

হরিশ্চন্দ্রপুরে TMC-BJP সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২, ব্যাপক উত্তেজনা

গুলিবিদ্ধদের নাম রফিকুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম। তাদের বাবা আবদুল বসির তৃণমূলের অঞ্চলের সহ সভাপতি। পরিবারের সদস্যরা জানান, এদিন বিজেপি কর্মী উনসাহার হকের ভাইপো আবদুল বারিক দলবল নিয়ে এসে গুলি চালাতে শুরু করে।

প্রতীকী ছবি
মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 15 Nov 2021,
  • अपडेटेड 8:09 PM IST
  • তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ
  • গুলিবিদ্ধ ২ যুবক
  • তদন্ত শুরু পুলিশের

বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ। গুলিবিদ্ধ দুই।  মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারী এলাকার ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা। গুরতর আহত দুই জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানান্তর করা হয়েছে মালদা ম্যাডিক্যলে। সেখান থেকে মালদার এক বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের গুলি লেগেছে পেটে ও পিঠে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধদের নাম রফিকুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম। তাদের বাবা আবদুল বসির তৃণমূলের অঞ্চলের সহ সভাপতি। পরিবারের সদস্যরা জানান, এদিন বিজেপি কর্মী উনসাহার হকের ভাইপো আবদুল বারিক দলবল নিয়ে এসে গুলি চালাতে শুরু করে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে উনসা বিজেপি করে। ঘটনায় দুই গুলিবিদ্ধকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে মালদার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন। 


অন্যদিকে এলাকা সুত্রে জানা গিয়েছে, উনসা ও বসির এলাকার দুই দাপুটে তৃণমূল। কাতলামারী এলাকা কার দখলে থাকবে সেই বেশ কিছুদিন থেকে গোলমাল চলছিল। এদিন বিকেলে ফের এলাকার দখল নিয়ে বচসা শুরু হয়। এরপরই একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বসিরের দুই ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। 

এদিকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশকর্মীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, 'বিজেপি বিহার থেকে দুস্কৃতি নিয়ে এসে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছি দাবি জানাবো দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।'

পালটা জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, 'তৃণমূল নিজেদের দোষ ঢাকতে বিজেপির ঘারে দোষ চাপাচ্ছে। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে।' অন্যদিকে জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, 'ঘটনায় ইতিমধ্য়েই চার জনকে অটক করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।'

Advertisement

 


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement