Advertisement

মালদায় পঞ্চায়েতের নির্বাহী এক্সিকিউটিভকে বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর, অভিযুক্ত প্রধান

সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সদস্যরা কংগ্রেস (Congress) সদস্যদের নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান জুলফিকার আলির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন নির্বাহী এক্সিকিউটিভ মোবারক হোসেন। অভিযোগ, এরপর এদিন মোবারক হোসেনকে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে দেখে তাঁর ওপর চড়াও হয় জুলফিকার আলি। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয় তাঁকে।

নির্বাহী এক্সিকিউটিভকে মারধরের অভিযোগ
মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 31 Aug 2021,
  • अपडेटेड 8:44 AM IST
  • পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ
  • কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান
  • অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তের

পঞ্চায়েত দফতরের নির্বাহী এক্সিকিউটিভকে মারধর। বন্দুকের বাট দিয়ে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। মালদার (Malda) কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। মারধরের পর আহত নির্বাহী সহায়কএক্সিকিউটিভ মোবারক হোসেনকে কালিয়াচক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের বিডিও (BDO) সেলিম হাবিব সর্দার।

প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সদস্যরা কংগ্রেস (Congress) সদস্যদের নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান জুলফিকার আলির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন নির্বাহী এক্সিকিউটিভ মোবারক হোসেন। অভিযোগ, এরপর এদিন মোবারক হোসেনকে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে দেখে তাঁর ওপর চড়াও হয় জুলফিকার আলি। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয় তাঁকে। যার জেরে বাম হাতে আঘাত পান তিনি। এরপর কালিয়াচক সিলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় নির্বাহী এক্সিকিউটিভকে।

অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত প্রধানের
       
যদিও অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান জুলফিকার আলি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এদিন পঞ্চায়েতে টিকাকরণের কাজ ছিল। ফলে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে বিবাদ বা ঝামেলায় জড়ানোর কোনও বিষয় নেই। 
 
অন্যদিকে উত্তর মালদার বিজেপি (BJP) সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, এটা হওয়ারই ছিল। কাটমানি বখরা ভাগ নিয়ে বিবাদ চলছে। যার ফলে বিবাদ। সরকারি কর্মীও রেহাই পাচ্ছেন না। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদও জানান খগেনবাবু। যদিও জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আলোচনা হয়েছে, কোনও অনাস্থা আনা হবে না। আর যদি সত্যিই মারধরের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে পুলিশ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানা তিনি।  

Advertisement

এদিকে এই প্রসঙ্গে কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের বিডিও সেলিম হাবিব সর্দার বলেন, ঘটনার পর নির্বাহী সহায়ককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সমস্ত ঘটনা শোনা হয়েছে। তিনি লিখিত দিলে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হবে। তারপর আইন অনুযায়ী কাজ হবে। 
 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement