Advertisement

'কাটমানি' নিয়ে বিবাদ? মালদায় আক্রান্ত TMC প্রধানের স্বামী

কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান (Panchayat Pradhan) আখতারি খাতুন। কিছুদিন আগে ওই গ্রামেরই এক তৃণমূল কর্মী সঞ্জুর আলির সঙ্গে বচসা হয় আখতারি খাতুনের স্বামীর। তারপরেই শনিবার গভীর রাত্রে প্রধানের স্বামীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় কেউ বা কারা। এক্ষেত্রে সেইদিনের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার যোগ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। যদিও সঞ্জুর আলির পরিবারের দাবি, হামলার ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই তারা যুক্ত নয়।

প্রতীকী ছবি
মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 12 Sep 2021,
  • अपडेटेड 4:32 PM IST
  • তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে মারধর
  • কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আক্রান্তের
  • উঠে আসছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব-কাটমানির তত্ত্বও

গভীর রাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর ওপরে হামলা। ঘটনাস্থল মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কাপাইচন্ডী গ্রামের বাসস্ট্যান্ড এলাকা। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তবে আহত হয়েছেন তিনি। এরপর এলাকাবাসী পালটা তাড়া করলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আহত আবদুল রশিদের অভিযোগের তীর কংগ্রেসের দিকে। যদিও পালটা কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের কাটমানি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। অন্যদিকে কারও কারও অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী কল বসানোর জন্য জন্য ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। তার জেরেই এই ঘটনা। 

কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ

জানা যাচ্ছে, স্থানীয় কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান (Panchayat Pradhan) আখতারি খাতুন। কিছুদিন আগে ওই গ্রামেরই এক তৃণমূল কর্মী সঞ্জুর আলির সঙ্গে বচসা হয় আখতারি খাতুনের স্বামীর। তারপরেই শনিবার গভীর রাত্রে প্রধানের স্বামীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় কেউ বা কারা। এক্ষেত্রে সেইদিনের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার যোগ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। যদিও সঞ্জুর আলির পরিবারের দাবি, হামলার ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই তারা যুক্ত নয়। এ প্রসঙ্গে সঞ্জুর আলির মা বলেন, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর পালটা দাবি, পঞ্চায়েত সমিতি থেকে তাঁরা একটি কল পেয়েছিলেন। সেটা লাগাতে যেতেই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এমনকী টাকা না দেওয়ার কল লাগাতে বাধা দেওয়া হয় বলেও দাবি সঞ্জুর আলির মায়ের।

বাঁশ নিয়ে হামলা

এদিকে আহত আবদুর রশিদ জানান, শনিবার তিনি থানা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বাসস্ট্যান্ডের কাছে  চারজন মোটরসাইকেল আরোহী মুখ ঢাকা অবস্থায় তাঁর উপর বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। তিনি কোনক্রমে পালিয়ে এলাকায় আশ্রয় নেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আবদুর রশিদ জানাচ্ছেন, দিন কয়েক আগে গ্রামের একটি বাড়িতে পঞ্চায়েত সমিতির দেওয়া টিউবওয়েল বসানোর সময় তিনি প্রতিবাদ জানান। তখনই সঞ্জুর আলি দলবল নিয়ে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আর সেই কারণেই তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছে। সঞ্জুর আলিরা কংগ্রেস (Congress) সমর্থক বলেও দাবি করেন আবদুর রশিদ।

Advertisement

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব

এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি মানিক দাস বলেন, সঞ্জুর আলি তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। সেই সময় পঞ্চায়েত সমিতি থেকে তাঁর নামে একটা নলকূপ বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে তাঁর সঙ্গে স্থানীয় প্রধানের কিছু মনোমালিন্য হয়েছে। তার জন্যই হয়তো এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। দল গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতা আবদুস শোভান কটাক্ষের সুরে বলেন, নিজেদের দলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর ফলেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখানে তাঁদের কোনও কর্মী জড়িত নয়। তৃণমূল নিজেরাই কাটমানি দ্বন্দ্বে জর্জরিত। নিজেরাই কাটমানি নিয়ে লড়াই করছে। আর তারই প্রতিফলন শনিবার রাতের ঘটনা।


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement