ফের বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থল সেই কোচবিহার। রবিবার এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ফের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এদিন কোচবিহারের সিতাই থানার আদাবড়ি ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২ নম্বর বুথে এক ব্যাক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাক্তির নাম অনিল বর্মন। বয়স বছর পঞ্চাশ।
অনিলের উপর নজর ছিল তৃণমূলের!
বিজেপির দাবি, অনিল বর্মন তাঁদের কর্মী ছিলেন। এর আগে নিহত অনিলবাবুর বাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ করে বিজেপি। অভিযোগের তির তৃণমূল ও আশ্রিত দুষ্কৃতিদের দিকে। প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কদিন আগেই বাড়ি ফিরে আসে অনিল।
তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ
এরপর থেকেই অনিলবাবুকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। আর তাতে রাজি না হওয়ায় তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা গতকাল রাতে বাড়ি থেকে মারতে মারতে বের করে নিয়ে এসে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেয় বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ
বিজেপির কোচবিহারের জেলা সভানেত্রী তথা বিধায়িকা মালতী রাভার অভিযোগ, কোচবিহার জেলার ৯ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৭ টিতে আমরা জয়ী হওয়ার জ্বালা তৃণমূলকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। ফের উপনির্বাচন আছে, সেখানে যে কোনওভাবে জিততে মরিয়া তারা। তাই ভয় দেখাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতিরা বিজেপি কর্মীদের উপর টানা অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
সিবিআই তদন্তের দাবি
প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে একজন করে বিজেপি কর্মীকে আমাদের হারাতে হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করছে। চাঁদা দিতে চাপ দিচ্ছে। না দিলে অত্অযাচার খুন হচ্ছে। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে রয়েছেন। বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়ে আছেন। অথচ তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রশাসনকে দিয়ে এই খুনের ঘটনা গুলো চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। দাবি মালতীদেবীর।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি
তৃণমূলেরর কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের পাল্টা দাবি, যে কোনও মৃত্যু হলেই বিজেপি তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে দিচ্ছে। সরকারে আছে তৃণমূল। তাই আঙুল তোলা সোজা কোচবিহারেও একই ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা। পরে পুলিশি তদন্তে বিজেপির নেতাদেরই জড়িত থাকার খবর মিলছে। বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার খেলায় মেতেছে। মানুষ সব এখন বুঝে গিয়েছে বলে দাবি তাঁর।
পুলিশের মুখে কুলুপ
এদিকে সিতাইয়ের ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে। যা আরও রহস্য ঘনীভূত করছে।