দিঘায় বেড়াতে যাওয়া যুবতীকে হোটেল পাইয়ে দেওয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগ। ৩ তারিখ অর্থাৎ শনিবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযোগ, যুবতী বন্ধুকে গাছে বেঁধে রেখে যুবতীকে ধর্ষণ করে দুই দুষ্কৃতী। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে দিঘা পৌঁছন এক যুবতী ও তাঁর বন্ধু। তাঁরা সস্তায় হোটেল খুঁজছিলেন। তখন ২ ব্যক্তি এসে তাঁদের জানান, সস্তায় হোটেল পাইয়ে দেবেন। কিন্তু সেজন্য কিছুটা দূরে যেতে হবে। কাছেপিঠে সস্তার হোটেল নেই। ওই যুবকদের কথায় রাজি হয়ে যান যুবতী ও তাঁর বন্ধু। তখন তাঁদের বাইকে করে সেখান থেকে দিঘাশ্রীর কাছে নিয়ে যায়। সেখানেই জঙ্গলের ধারে যুবতী ও তাঁর বন্ধুকে নগ্ন করে তাঁদের কাছে থাকা সব জিনিস ছিনিয়ে নেয়। তারপর মেয়েটির পুরুষ বন্ধুকে গাছে বাঁধে অভিযুক্তরা। বেধড়ক মারধরও করে। এরপর বন্ধুর সামনেই যুবতীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
দিঘা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই যুবতী ও তাঁর বন্ধু হোটেল খুঁজছিলেন। তখন ২ জন এসে তাঁদের সাহায্যের আশ্বাস দেয়। কৌশলে বিশ্বাস করায় যে, হোটেল অনেক দূরে। তাদের জঙ্গলে নিয়ে যায়। যেখানে তারা মহিলাকে ধর্ষণ করে এবং তার বন্ধুকে মারধর করে।
এদিকে পরদিন সকালে, মহিলা স্থানীয়দের সাহায্য চেয়ে দিঘার নিকটতম থানায় যান। অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
'অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩৭৬, ৩৭৯, এবং ৩৪-এর অধীনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ দায়েরের মাত্র চার ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।' বলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি।
অভিযুক্তদের সোমবার কাঁথি মহকুমা আদালতের তোলা হয়। অভিযোগকারিণী আদালতে গোপন জবানবন্দী দেন। যার পর বিচারক অভিযুক্তদের ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন।
নির্যাতিতার ভাই জানান, দোষীদের যাতে কঠোর সাজা হয়, সেই আবেদন আদালতে জানানো হয়েছে।