বিজেপি (BJP) কর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল (TMC) কর্মীর বিরুদ্ধে। আমতা (Amta) বিধানসভা কেন্দ্রের বাগনান থানার অন্তর্গত বাইনান এলাকার ঘটনা। ঘটনার পর থেকে ব্যাপক আতঙ্কে নির্যাতিতার পরিবার।
বাগনান গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ জয়নাল মল্লিক ও শেখ সাহিদ নামে দু'জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের আজ উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 6 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় পুলিশ আরো দুজন তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বাড়িতে গিয়ে 'গণধর্ষণ'
জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে হওয়া স্ট্রোকের কারণে কথা বলতে পারেন না ওই মহিল। শনিবার বিশেষ কাজে কলকাতায় যান তাঁর স্বামী। অভিযোগ, সেই সুযোগে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কুতুবুদ্দিন মল্লিক ও যুব সভাপতি দেবাশিষ রানা সহ ৫ জন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ওই মহিলার নাম ধরে ডাকে। স্বামী ফিরেছেন মনে করে ওই মহিলা দরজা খুলতেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। চলে গণধর্ষণ (Gang Rape)।
এরপর ভোর ৫টা নাগাদ মহিলার বড় ছেলে ঘুম থেকে উঠে তাঁকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সেই সময় মহিলার স্বামীর মোটরসাইকেলটিও তাঁর ওপর চাপা দেওয়া ছিল। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বিষয়টি বাবাকে জানান তিনি। এরপর মহিলাকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই মহিলা।
আক্রোশের জেরেই ধর্ষণের অভিযোগ
এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কুতুবুদ্দিন মল্লিক ও যুব সভাপতি দেবাশিষ রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের বুথে লিড পেয়েছে বিজেপি। সেই আক্রোশেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে নির্যাতিতার পরিবার। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।