Advertisement

সঙ্গমরত অবস্থায় দুজনের উপর ফেবিক্যুইক ঢালে, তারপর নলি কাটে তান্ত্রিক, উদয়পুরে ঠিক কী ঘটে?

পুলিশ জানিয়েছে, ভলেশ ফেভিকুইকের ৫০টি টিউব কেনে।  একটি বোতলে সেগুলি ঢালে। গত ১৫ ভভেম্বর রাহুল ও সোনুকে সে উদয়পুরের একটি জঙ্গলে আমন্ত্রণ জানায়। বলে, বিশেষ তন্ত্র সাধনা করবে, যাতে রাহুল ও সোনুর বিয়ে হয়ে যায়। সেই সাধনার জন্য দুজনকে তার সামনে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে হবে।

উদয়পুরে সেই খুনি তান্ত্রিক ভলেশ কুমারউদয়পুরে সেই খুনি তান্ত্রিক ভলেশ কুমার
Aajtak Bangla
  • উদয়পুর,
  • 23 Nov 2022,
  • अपडेटेड 12:42 PM IST
  • গত ১৮ নভেম্বর: জঙ্গলে এক ব্যক্তি ও মহিলার নগ্ন দেহ
  • তান্ত্রিককে ফাঁসানোর হুমকি রাহুল-সোনুর
  • সঙ্গমরত অবস্থায় ৫০ টিউব ফেভিকুইক

সম্প্রতি দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করার মতো ঘটনায় শিউরে উঠেছে দেশ। এবার আফতাবের নৃশংসতাকে প্রায় ছাড়িয়ে গেল রাজস্থানের তান্ত্রিক।

গত ১৮ নভেম্বর: জঙ্গলে এক ব্যক্তি ও মহিলার নগ্ন দেহ

উদয়পুরের জঙ্গলে গত ১৮ ডিসেম্বর এক ব্যক্তি ও মহিলার পচা নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ প্রথমে সন্দেহ করেছিল, অনার কিলিংয়ের ঘটনা। এরপর তদন্ত শুরু করতেই পুলিশ বুঝতে পারে, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও তান্ত্রিক জড়িত। ৫৫ বছরের তান্ত্রিক ভলেশ কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভলেশ পুলিশের জেরায় যা বলেছে, তাতে স্তম্ভিত পুলিশ। 

আরও পড়ুন

মৃতদের পরিচয় রাহুল মীনা (৩০) পেশায় শিক্ষক ও সোনু কুঁয়ার (২৮)। দুজনেই বিবাহিত। কিন্তু পরস্পরের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দুজনের পরিবার মন্দিরে এক তান্ত্রিকের কেছে যেতেন, সেখানেই দুজনের পরিচয়। তারপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তান্ত্রিককে ফাঁসানোর হুমকি রাহুল-সোনুর

পরকীয়ার জেরে রাহুল তার স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই অশান্তি করত। রাহুলের স্ত্রী ভলেশ কুমার নামে তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হন সাহায্যের জন্য। ভলেশ কুমারকে সোনু কুঁয়ারও চিনতেন। ভলেশ রাহুলের স্ত্রীকে জানায়, সোনু ও রাহুলের সম্পর্কের বিষয়ে। এরপর সোনু ও রাহুল মিলে তান্ত্রিক ভলেশ কুমারকে হুমকি দিতে শুরু করে, ধর্ষণের কেসে ফাঁসিয়ে দেবে তাকে। তান্ত্রিক ভলেশ কুমার এরপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ছক কষতে শুরু করে। 

সঙ্গমরত অবস্থায় ৫০ টিউব ফেভিকুইক

পুলিশ জানিয়েছে, ভলেশ ফেভিকুইকের ৫০টি টিউব কেনে।  একটি বোতলে সেগুলি ঢালে। গত ১৫ ভভেম্বর রাহুল ও সোনুকে সে উদয়পুরের একটি জঙ্গলে আমন্ত্রণ জানায়। বলে, বিশেষ তন্ত্র সাধনা করবে, যাতে রাহুল ও সোনুর বিয়ে হয়ে যায়। সেই সাধনার জন্য দুজনকে তার সামনে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে হবে।

তান্ত্রিক ভলেশের কথায় বিশ্বাস করে জঙ্গলে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয় রাহুল ও সোনু। লিপ্ত অবস্থায় রাহুল ও সোনুর উপরে ফেভিকুইক ঢেলে দেয় ভলেশ।

নলি কেটে যৌনাঙ্গে কোপাতে শুরু করে তান্ত্রিক 

এরপর দুজনের আটকে থাকা অবস্থায় ছুরি দিয়ে যৌনাঙ্গে কোপাতে শুরু করে ভলেশ। সোনু ও রাহুল ছাড়ানোর চেষ্টা করলে চামড়া উঠে যেতে শুরু করে। পুলিশ যখন দুজনের নগ্ন দেহ উদ্ধার করে, তখনও একে অপরের সঙ্গে আটকে ছিল। 

সঙ্গমরত রাহুল ও সোনুর গলার নলি কেটে দেয় ভলেশ। তারপর গোপনাঙ্গে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।  উদয়পুরের এসপি বিকাশ কুমার ইতিমধ্যেই ২০০ জনকে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। খুনের পর এক মহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement