স্বামীর হাত-পা বেঁধে তাঁর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা স্ত্রী-র। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের। স্বামীর অভিযোগ, হাত-পা বেঁধে তাঁর স্ত্রী ছুরি নিয়ে গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করে। এই ঘটনার পর থেকে তিনি আতঙ্কিত। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মেরঠের। এক যুবকের অভিযোগ, স্ত্রী দিনের পর দিন অত্য়াচার করছে তাঁর উপর। এমনকী গোপনাঙ্গ কেটে ফেলারও চেষ্টা করেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এর সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি করেন সেই ব্যক্তি। যদিও পুলিশের তরফে অভিযুক্ত মহিলাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তিনি আবার পাল্টা অভিযোগ করেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, মেরঠের লোহিয়া নগর থানা এলাকার জাহিদপুরে থাকেন ওই যুবক। তিনি অসমের বাসিন্দা। বছর ছয়েক আগে জ্বালাপুর হরিদ্বারের এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। যুবক জানায়, তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হয়। তিনি তাঁকে মারধর করেন। খুনের হুমকিও দেন। তাই যুবক থানায় কাঁদতে কাঁদতে হাজির হন। যুবকের অভিযোগ, একদিন সেই ঝগড়া চরমে পৌঁছলে তাঁর গোপনাঙ্গ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে স্ত্রী। তিনি প্রতিবাদ জানালে মারধর করা হয়।
যুবকের দাবি, স্ত্রী-র অত্য়াচার সহ্য করতে না পেরে তিনি থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই যুবকের অভিযোগ সত্যি কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন এত ঝামেলা? যুবকের দাবি, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ঘরজামাই হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। তিনি রাজি না হওয়ার কারণেই এত সমস্য। ঘরোয়াভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য সালিশিসভাও বসানো হয়। কিন্তু স্ত্রী রাজি হয়নি। যুবকের আরও দাবি, তাঁর বাবা-মাকে-ও মারধর করে স্ত্রী।
এদিকে স্বামীর অভিযোগকে মিথ্যে বলে দাবি করেছেন স্ত্রী। তিনি থানায় জানান, তাঁর স্বামীর অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। সেটা জানাজানি হওয়ার পরই এই বিপত্তি। তিনি স্বামীর কাছে জবাবদিহি চান। আর তাতেই রেগে যায় স্বামী।
এই নিয়ে মেরঠের থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লোহিয়া নগর থানার অন্তর্গত জাহিদপুরের বাসিন্দা এক যুবক তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যেই দোষী প্রমাণিত হবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।