বাবার পরকীয়ার (Extra Marital Affair) খেসারত দিল ছেলে। বাবার প্রেমিকার স্বামীর হাতে প্রাণ দিতে হল যুবককে। বেধড়ক মারধরের পর গলায় ফাঁস দিয়ে ওই যুবককে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Mursidabad) ভগবানগোলার লতিকাকুড়িতে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত ওই যুবকের নাম পিন্টু দাস। জানা গেছে এলাকারই এক সিআরপিএফ জওয়ানের স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পিন্টুর বাবা। বিষয়টি জানতে পারেন ওই সিআরপিএফ জওয়ান। এরপরেই অশান্তি শুরু হয় দুই পরিবারের মধ্যে। দিন কয়েক আগে বচসা চরমে পৌঁছায়। অভিযোগ, সেসময় পিন্টু দাসের বাবা ও তাঁর পরিবারে সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ওই সিআরপিএফ জওয়ান। যার জেরে আতঙ্কে বাড়ি ছাড়েন পিন্টু ও তাঁর পরিবারের পরিবার। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের দিকে একবার বাড়ি ফেরেন পিন্টু। কোনও ভাবে সেই খবর পেয়ে যান ওই সিআরপিএফ জওয়ান। এরপরেই দলবল নিয়ে পিন্টুর বাড়িতে চড়াও হন তিনি। অভিযোগ, প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় পিন্টুকে। তারপর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। বুধবার সকালে পিন্টুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ পাঠান হয় ময়নাতদন্তে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে মারধর না কি গলায় ফাঁসের কারণে মৃত্যু, তা জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর। এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিকে জলজ্যান্ত ছেলের এহেন মৃত্যুতে শোকে পাথর গোটা পরিবার। দোষীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন পিন্টুর পরিবারের সদস্যরা। গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এক্ষেত্রে বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক না কি অন্যকোনও কারণে পিন্টুর এই পরিণতি তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর তদন্তের প্রয়োজনে নিহতের বাবার প্রেমিকা ও সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা।