Advertisement

দেশ

নোটবন্দির ৪ বছর! ব্যাঙ্কে লম্বা লাইন-ATM খালি-নতুন নোট, মনে আছে?

Aajtak Bangla
  • 08 Nov 2020,
  • Updated 5:41 PM IST
  • 1/9

দেখতে দেখতে নোটবন্দির ৪ বছর হয়ে গেল।  ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত আটটায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ১০ মিনিটের ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই ১০ মিনিটের ভাষণ ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিল দেশবাসীকে। 
 

  • 2/9

কালোটাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গ হিসাবে  প্রধানমন্ত্রী আচমকাই জানিয়েছিলেন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট আর বাজারে চলবে না। তাঁর সেই ঘোষণার পরই বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৮৬ শতাংশ কারেন্সি নোট স্রেফ কাগজের টুকরোতে পরিণত হয়েছিল।  তারপরই ২০০, ৫০০ ও ২০০০ টাকার  নতুন কারেন্সি নোট বাজারে আনতে উঠে-পড়ে লাগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। 

  • 3/9

নোটবন্দি পরিস্থিতিতে এটিএম থেকে টাকা তোলা ও জমা করার লাইনে দাঁড়িয়ে সারা দেশে একশোর বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর কারণ অবশ্য ছিল আলাদা আলাদা। কেউ হার্ট অ্যাটাকে, কেউ স্ট্রোক-এ মারা যান। কিন্তু প্রত্যেকেই এটিএমের বা ব্যাঙ্কের  লাইনে দাঁড়ানো অবস্থাতেই মারা গিয়েছিলেন। আর তা নিয়েও হয়েছিল ব্যাপক রাজনীতি।

  • 4/9

নোটবন্দির জেরে ডিজিটাল পেমেন্ট বৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি করদতাদের সংখ্যাও বেড়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে  প্রবল বিপদের মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। 

  • 5/9

ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হয়
দেশের মানুষ এখনও নোটবন্দির কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলি ভোলেনি। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল সেই শিল্পগুলিতে যা বেশিরভাগ নগদে ডিল করে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষুদ্র শিল্প। নোটবন্দির সময়, এই শিল্পগুলিতে নগদ অর্থের ঘাটতি দেখা দেয়। এই কারণে বহু ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। লোকেরা কাজ হারান।

  • 6/9

নোটবন্দির তিক্ত স্মৃতি
হঠাৎ ডিমনিটাইজেশনের সিদ্ধান্ত পুরো দেশে বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি করেছিল,  সংগঠিত এবং অসংগঠিত দুই ক্ষেত্রের উপরই এর প্রভাব পড়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডিমনিটাইজেশনের  সম্পর্কিত নিয়মগুলি প্রতিদিন পরিবর্তন করা হচ্ছিল। বিরোধীরা অভিযোগ করে, কোনওরকম আগাম প্রস্তুচি ছাড়াই  নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেন্দ্র।
 

  • 7/9

এই জন্যে নোটবন্দি
মোদী সরকার নোটবন্দি আনার বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়েছিল। কালো টাকা দূরীকরণ, নকল মুদ্রা নির্মূল করা, সন্ত্রাসবাদ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ-সহ নগদহীন অর্থনীতিকে উৎসাহ দেওয়া।

  • 8/9

নোটবন্দি দেশের কালো ধন ফেরত আনতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুরুর দিকে সরকার বলেছিল, নোটবন্দির ফলে বাজারে চলতি নকল নোটের প্রকোপ কমবে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এক রিপোর্টে দাবি করেছিল, ৯৯ শতাংশ কারেন্সি নোট ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে। অর্থাৎ কালো ধন মানুষ সম্পত্তিতে রূপান্তরিত করে ফেলেছিল।  

  • 9/9

বৃদ্ধির হারের প্রভাব
তবে রিপোর্ট বলছে, নোটবন্দির জেরে দেশের জিডিপি গ্রোথ রেট অনেকটাই কমে গিয়েছিল। দেশের আর্থিক বিকাশ ৫  শতাংশ কমে যায়। নোটবন্দির সিদ্ধান্তে কয়েক মাসের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রবল বিপদের মুখে পড়তে হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই পদক্ষেপে দেশের নগদ অর্থের ৮৬  শতাংশ নষ্ট হয়েছিল। সরকারের এই কার্যক্রম নিয়ে, বিরোধীদের পক্ষ থেকে অনেক অভিযোগ আসে। যদিও নোটবন্দির প্রভাব ইচিবাচক বলেই দাবি সরকারের। 

Advertisement
Advertisement