EPFO নিয়ে বড় পরিবর্তন আনেছে কেন্দ্র। এখন PF অ্যাকাউন্ট ব্যবহার আরও সহজ করছে কেন্দ্র। ATM এবং UPI ব্যবহার করে সরাসরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এর টাকা তোলা যাবে। PF-এর টাকা তোলা আরও সুবিধাজনক করা হচ্ছে।
এতে অনলাইন বা অফলাইনে ইপিএফ সদস্যদের জন্য টাকা তোলা সহজ হবে। যদিও EPFO কোনো লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক নয়। বর্তমানে, EPFO সদস্যদের তাদের EPF ব্যালেন্স অ্যাক্সেস করার জন্য অনলাইন বা অফলাইনে ক্লেইম জমা দিতে হয়।
করোনা মহামারীর সময় চালু হওয়া অটো-সেটলেমেন্ট বৈশিষ্ট্যটি ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াটিকে দ্রুত করেছে, তবে অটোমেশন থাকা সত্ত্বেও এটি সাধারণত তিন দিন পর্যন্ত সময় নেয়।
এটিএম এবং ইউপিআই অ্যাক্সেস করেই টাকা তোলা যাবে। ফলে আঙুল ছোঁয়ালেই আসবে টাকা।
EPFO-র সাম্প্রতিক যে পরিবর্তনগুলি হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ক্লেইম জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ার সময় চেক বা ব্যাঙ্ক পাসবুকের স্ক্যান করা ছবি আপলোড করার মতো নিয়মটি তুলে দেওয়া। এতে ত্রুটি কমানো এবং ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়াকে সহজ করবে।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আপডেটের জন্য এখন আধার-ভিত্তিক ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলি পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকার ক্লেইমের টাকার সীমা ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করেছে। যার ফলে আরও বেশি ব্যবহারকারী ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপ ছাড়াই দ্রুত অগ্রিম টাকা তুলতে পারবেন।
এর ফলে ইপিএফও-র ৭ কোটিরও বেশি সদস্য উপকৃত হবেন। শারীরিক অসুস্থতা, শিক্ষা, বিয়ে, গৃহ নির্মাণ বা ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই সুবিধা মিলছে। সবচেয়ে বড় কথা, কোনও মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন নেই, স্বয়ংক্রিয় ভাবেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
সফ্টওয়্যার ইন্টিগ্রেশন এবং ব্যাকএন্ড সিস্টেম আপগ্রেড তৈরি করা হচ্ছে, যদিও এখনও তা চালু করার কোনও সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে, পিএফ কর্মীরা পিএফ অফিসে না গিয়েই অনলাইনে ৫ লক্ষ টাকার মতো বড় অঙ্কের পিএফ দাবি করতে পারবেন। এছাড়াও, অ্যাডভান্স ক্লেমের জন্য তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। ঘরে বসেই, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তরিত হবে, যা তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে পারবে।