বিহার রাজনীতির এখন উজ্জ্বল নক্ষত্র লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। বিধানসভা ভোটে এনডিএ সরকারকে একাই টলিয়ে দিয়েছেন এই তরুণ তুর্কী। তাকে এক ঝলক দেখতে ভিড় উপচে পড়েছে নির্বাচনী জনসভাগুলিতে। তরুণ প্রজন্ম তার দিকে তাকিয়েই হাতখুলে ভোট দিয়েছে বিরোধী মহাজোটকে। তবে তেজস্বীর জনপ্রিয়তা কিন্তু বড়াবড়ই চোখে পড়ার মত। ইতিমধ্যে ৪৪ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে।
সালটা আজ থেকে ৪ বছর আগে। তখন আরজেডি ও জেডিইউ সরকার রাজ করছে বিহারে। নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রীর আসনে রয়েছেন তেজস্বী। আর সেই সময়ই তেজস্বীর জন্য এসেছিল ৪৪ হাজার বিয়ের প্রস্তাব। সংখ্যাটা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।
জানা যাচ্ছে খারাপ রাস্তা, সরকারি আধিকারিকদের দুর্ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ পেতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তবে সেই নম্বরে অবশ্য অভিযোগের চেয়ে বিয়ের প্রস্তাবই বেশি পেতে হয় এলিজেবল ব্যাচেলর তেজস্বীকে।
সেই সময় বিহারের পূর্তদফতর জানিয়েছিল ৪৪ হাজার তরুণী তাঁদের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপ সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তেজস্বীকে। সেখানে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মাত্র ৩ হাজার মেসেজ এসেছে রাস্তাঘাট-উন্নয়নের সমস্যা সংক্রান্ত। তেজস্বী যাদবের দফতরের সূত্রেও জানান হয়েছিল, আম জনতা রাস্তাঘাট এবং উন্নয়ন নিয়ে মাত্র ৩ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এবং ছবি পাঠিয়েছেন।
মেয়েরা মেসেজে নিজের নাম-সহ ফিগারের সাইজ, উচ্চতা , গায়ের রঙ বিস্তারিত জানিয়েছিল তেজস্বীকে ৷ সেই সময় লালুপ্রসাদের ছোট ছেলের বয়স ছিল ২৬ বছর।
একের পর এক বিয়ের প্রস্তাবে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল রাবরি দেবীর লাডলার। সেই সময় নিজেই তেজস্বী মজা করে বলেছিলেন, ‘ভাগ্যিস আমার বিয়ে হয়নি ৷ নাহলে বিপদে পড়তাম ৷’
তেজস্বী যাদব বিহারে এখন তরুণীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। অনেকই তেজস্বীকে বিহারের মোস্ট এলিজেবেল ব্যাচেলারও বলেন।