সোমবার অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন অযোধ্যায় রামের শিশুরূপ প্রতিষ্ঠিত হয়। আচার-অনুষ্ঠান, রীতিনীতি মেনে রামলালার পায়ে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনুষ্ঠানের মঞ্চে পৌঁছান। এতদিন পর অবশেষে ১১ দিনের বিশেষ আচার অনুষ্ঠান শেষ করেন তিনি।
নির্মোহী আখড়ার স্বামী গোবিন্দ গিরিজি মহারাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে সহায়তা করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানের আগে ১১ দিন ধরে সংযমের জীবনযাপন করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গরুর পুজো করেন। মেঝেতে শুতেন এবং নারকেল জল পান করতেন। ফলাহার করতেন। এর পাশাপাশি ৪টি রাজ্যে রামায়ণ সম্পর্কিত ৭টি মন্দির দর্শন করেন ও পুজো দেন।
এদিন রামলালার মূর্তি সোনা ও পান্নার গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর আজ রামলালার চোখের উপর থেকে পট্টি খুলে ফেলা হয়। গত সপ্তাহেই রাম মন্দিরে নতুন ৫১ ইঞ্চির মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৮৪ সেকেন্ডের 'লগ্নে' 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' করেন। তার আগে তিনি আরএসএস প্রধান মোহন ভগবন্তের সঙ্গে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগেই প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরে প্রবেশ করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে অযোধ্যায় কার্যত চাঁদের হাট বসেছে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ এবং ভিকি কৌশল ও অন্যান্য বলিউড সুপারস্টাররা।
সচিন তেন্ডুলকর এবং অনিল কুম্বলেও রাম মন্দিরে গিয়েছেন। ধনকুবের মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি এবং মেয়ে ইশা আম্বানিকেও এদিনের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। অভিনেতা রজনীকান্তও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে একদিন আগেই অযোধ্যায় পৌঁছে যান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর আগে, ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার থেকে অযোধ্যার রাম মন্দির কমপ্লেক্সে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়।
গত কয়েকদিন ধরেই অযোধ্যায় উৎসবের মেজাজ। এদিন স্থানে স্থানে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দিতে দেখা যায়। শহর জুড়ে রামের পোস্টার লাগানো হয়েছে।
তবে এদিনের অনুষ্ঠানে প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি অংশ নেননি। একদিন আগেই যদিও সেই বিষয়ে জানা গিয়েছিল। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণেই তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেননি বলে জানা গিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ দিনের বিশেষ 'যমের নীতি' মেনে চলার বিষয়ে জানিয়েছিলেন।
সোমবার রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য বিরোধী দলগুলিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা এটি বিজেপি এবং আরএসএস-এর অনুষ্ঠান বলে অভিহিত করে। এটি 'ধর্মের রাজনীতি' বলে দাবি বিরোধীদের।