তেল শুষে সমুদ্রকে বাঁচাতে নতুন ধরনের তুলো। মালদার বিজ্ঞানীর অভিনব আবিষ্কারে খুশি পরিবেশপ্রেমীরা। (প্রতীকী ছবি)
তৈলবাহী জাহাজ ডুবে, কলকারখানা থেকে ক্ষতিকারক তেল বা তেল জাতীয় তরল জলস্রোতের সঙ্গে মিশে বা অন্য অনেক কারণে মাঝেমাঝেই সমুদ্রের জলে ভেসে ওঠে তেল। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবেশের ভারসাম্য। বিপন্ন হয় সামুদ্রিক প্রাণী। এই সমস্যা নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝে সমুদ্রে থেকে তেল মিশে যায় জলে। (প্রতীকী ছবি)
তাই সমুদ্রের এই জল দূষণ থেকে মুক্তি পেতে উদ্বিগ্ন বিশ্বের তাবড় পরিবেশবিদ ও গবেষকরা। বিভিন্ন সময়ে এই দূষণের হাত থেকে মুক্তি পেতে পথ খোঁজার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। (প্রতীকী ছবি)
এবারে এই সমস্যা সমাধানের রাস্তা দেখালো মুম্বাইয়ের ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (বার্ক)। সাধারণ তুলোকে পরিবর্তিত রূপ দিয়ে, এক বিশেষ ধরনের তুলো তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। আর এই অসাধ্য সাধন করেছেন সেখানকার বিজ্ঞানী শুভেন্দু রায়চৌধুরি। এ কাজে তাঁর সহযোগী ছিলেন মালদা জেলার বিজ্ঞানী, শহরের সানি পার্ক এলাকার বাসিন্দা অতনু ঝা।
কী ভাবে কাজ করবে এই তুলো? কেন এই আবিষ্কারকে এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? কারণ সাধারণত লোক তেল ও জল দুইই শোষণ করতে পারলেও, এই বিশেষ ধর্মের তুলো জলে মিশে থাকা তেল শোধন করতে সক্ষম। তবে শুধু তেলই নয়, এর পাশাপাশি বেঞ্জিন, হেক্সিন, ক্লোরোফর্ম ইত্যাদিও শুষে নিতে পারে এইগুলো। (প্রতীকী ছবি)
১ কেজি তুলো একবারে প্রায় ২৫ কেজি পর্যন্ত তেল শোষণ করতে পারে। গবেষণা কেন্দ্রে তৈরি এইগুলো বহুবার ব্যবহার করা সম্ভব। ২০১৮ সালে এইগুলোর পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হয়। ২০২০ সালে তা মঞ্জুর হয়ে যায়। (প্রতীকী ছবি)
আগামী সময় সমুদ্র দূষণ রুখতে বাঙালি বিজ্ঞানীর তৈরি এই তুলো ভীষণ কার্যকারী ভূমিকা গ্রহণ করবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রে তেল মিশলে খুব সবজে তা সরিয়ে ফেলা যাবে। ফরলে দূষণের সম্ভাবনা অনেকটা কমবে। রক্ষা পাবে সমুদ্র। বেঁচে যাবে জলজ উদ্ভিদ-প্রাণী। (প্রতীকী ছবি)