শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল 'বিপর্যয়'। ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জারি করা হল সতর্কতা। আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী রূপ নেবে বিপর্যয়। তার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।
তবে বিপর্যয়ের কোনও প্রভাব পড়বে না বাংলায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়াবে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এখন এর অবস্থান পূর্ব মধ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে। মুম্বই থেকে প্রায় ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পোরবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ গুজরাতের পোরবন্দর। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
৮ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে বিরাট ঢেউয়ের পূর্বাভাস। ১২ জুন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বজায় থাকতে পারে।
এর প্রভাব দেখা যাবে গুজরাটের উপকূলবর্তী শহরগুলিতে। গুজরাতের মৎস্যজীবীদের ১৪ জুন পর্যন্ত আরব সাগরে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৯ থেকে ১১ জুনের মধ্যে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাতের হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে দূরে থাকলেও প্রভাব পড়বে। এই সব রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টিপাত হবে।
হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। আরব সাগরের পশ্চিম মধ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে দমকা হাওয়া বইবে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তানের করাচিতে। করাচি থেকে ১১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে বিপর্যয়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'বিপর্যয়' দিয়েছে বাংলাদেশ।