Corona Impact on Education in India: রাজ্যের স্কুলশিক্ষার ক্ষেত্রে একই সঙ্গে ভাল এবং খারাপ ছবি ধরা পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার হার বেড়েছে। ২০১৮ এবং ২০২১ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই দাবি করেছে একটি সংস্থা। এটা বেসরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার তথ্য।
তারা জানাচ্ছে, সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে সরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। করোনা সংক্রমণের কারণে চাকরিবাকরি হারানো বা আয় কমে যাওয়ার মতো ঘটনা চোখে পড়েছে। ফলে বেসরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালানো অনেক মা-বাবার পক্ষে চিন্তার হয়ে গিয়েছে। আর তাই সরকারি স্কুলের দিকে তাঁরা ঝুঁকছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
৬-১৪ বছরের পড়ুয়াদের নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে এমনই তথ্য উঠে আসছে। আরও বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বাংলায় ওই বয়সের শিশু-কিশোরদের ৮৮ শতাংশ স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছে। ২০২১ সালে তা বেড়েছে। সেই হার দাঁড়িয়েছে ৯১.৮ শতাংশে।
এই সমীক্ষার কাজ করেছিল অসর (ASER) নামে এক সংগঠন। তারা সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা জানাচ্ছে, সারা দেশে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির প্রবণতা কমেছে।
দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সাল ওই হার ছিল ৩২.৫ শতাংশ। ২০২১ সালে তা কমে হয়েছে ২৪.৪ শতাংশ।
এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, দেশে ৬-১৪ বছরের ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার হার একই রয়েছে।
২০২৮ সালে স্কুলে ভর্তি না হওয়ার হার ছিল ১.৪ শতাংশ। বছর দুয়েক পর তা বেড়ে গিয়েছিল। ২০২০ সালে ভর্তি না হওয়ার হার ছিল ৪.৬ শতাংশ। ২০২১ সালেও তা-ই রয়েছে।
এর মাঝে একটা বাংলার জন্য একটা ভাল খবর ও আছে। আর তা হল রাজ্যে স্কুল ভর্তি হয়নি এমন ছেলেমেয়ের সংখ্যা কমেছে। ভর্তি না-হওয়ার হার ২০১৮ সালে ছিল ১.৬ শতাংশ। ২০২১ সালে তা সামান্য কমে হয়েছে ১ শতাংশ।
তারা দেশের ২৫টি রাজ্যে এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই সমীক্ষা করেছিল। ৭৬,৭০৬টি বাড়ি এবং ৫-১৬ বছর বয়সী ৭৫,২৩৪ জন পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেছিল।
এ রাজ্যের ২ হাজার ১৫০ জন পড়ুরা সঙ্গে কথা বলেছিল ওই সংগঠন। গিয়েছিল ২ হাজার ৪৭৯টি বাড়িতে।
দেশের বড় বড় রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরল এবং অন্ধ্রপ্রদেশে সরকারি স্কুলে পডুয়া ভর্তির হার বেড়েছে। অন্যদিকে, উত্তর-পূর্ব ভারতে সেই সংখ্যা কমেছে।
সেইসঙ্গে আরও একটি আশঙ্কাজনক কথাও জানা গিয়েছে। আর তা হল সেখানে পড়ুয়া ভর্তির হার কমেছে। স্কুল খুললে এ ব্য়াপারে আরও ভাল করে তথ্য জানা যাবে।