ওড়িশায় বুধবার সকালে ল্যান্ডফলের পর ইয়াস ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। ঝড়ের গতিতে বহু গাছ উপড়ে যায় । বৃহস্পতিবার সেই ঝড় দুর্বল হয়ে নিম্নচাপ হলেও ইতিমধ্যে ইয়াসের প্রভাবে ওড়িশার উপকূলের ১২৮টি গ্রাম জলের তলায় গিয়েছে।
বুধবার ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ল অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। তার ফলে তাণ্ডব চললেও ওড়িশায় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়। যদিও উপকূলবর্তী একাধিক গ্রামও জলবন্দি হয়ে গিয়েছে। এদিন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
হেলিপক্টারে করেই বিধ্বস্ত গ্রামগুলি পরিদর্শন করেন নবীন। ইতিমধ্যে ১২৮ গ্রামে আগামী ৭ দিনের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।
প্রথমে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ল্যান্ডফল হওয়ার কথা ছিল বাংলায়, কিন্তু পরে তা পথ পরিবর্তন করে ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়ে। ইয়াসের কারণে বাংলায় যা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার হয়েছে, তাঁর থেকে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নবীন পট্টনায়কের রাজ্যে।
ওড়িশা সরকার ইয়াসের মোকাবিলায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। বহু মানুষকে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওড়িশার বালাসোরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাণ্ডব করে ইয়াস। তবে, এই দুর্যোগের সময়েও মানবিক ওড়িশা সরকার।
যেই সময় প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর ওড়িশার পাশে দাঁড়ানো দরকার, সেই সময় ওড়িশা নিজে ইয়াসের মোকাবিলার পাশাপাশি কোভিড আক্রান্ত রাজ্যগুলিতে অক্সিজেন সাপ্লাই করে চলেছে। এর আগে ২০১৯ সালে ফণি ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল ওড়িশার।