এ যেন হিটলারের কুখ্যাত গ্যাস চেম্বার! দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চলের যা পরিস্থিতি, তাতে এই বিশেষণ ব্যবহার করাই যায়।
আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবারও রাজধানী ও সংলগ্ন রাজ্যগুলির বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙল বিষ বাতাসে শ্বাস নিয়ে।
এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (AQI) লেভেল ৪৩২। বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার রাত ১১টায় তো আরও ভয়াবহ ছিল। এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ৪৫২ ছুঁয়েছিল।
শ্বাসকষ্ট তো বটেই, ধোঁয়া এতটাই ঘন যে দৃশ্যমানতাও অত্যন্ত কমে গিয়েছে। চোখ জ্বলছে মানুষের।
দিল্লি বিমানবন্দরে একাধিক উড়ান দেরিতে চলছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানাচ্ছে, দিল্লি ও সংলগ্ন বহু অঞ্চলে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ৪৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, বাওয়ানা, দ্বারকা, জাহাঙ্গিরপুরী, মুন্ডকা, নজফগড়, লাজপত নগর, পটপরগঞ্জ, পঞ্জাব বাগ, আরকে পুরম, রোহিনী, বিবেক বিহার ও ওয়াজিরপুরের মতো একাধিক জায়গায় এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স সাড়ে ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছিল ভোর ৬টায়।
আনন্দ বিহারে AQI লেভেল ৪৭৩। পটপরগঞ্জ, অশোক বিহারে AQI লেভেল ৪৭০-এর বেশি। অর্থাত্ বাতাসে ভর্তি বিষ। চোখ জ্বলবে। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট।
ইতিমধ্যেই IndiGo এক্স হ্যান্ডেলে যাত্রীদের আবেদন করেছে, কম দৃশ্যমানতার জেরে বেশ কিছু রুটে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত বৃহস্পতিবারই দিল্লির শীতলতম দিন।
দিল্লির মতোই বাতাসের গুণমান কম-বেশি বিপজ্জনক পর্যায় পৌঁছেছে চণ্ডীগড়, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, গুরুগ্রাম এবং বাদিতে।