গুজরাতের গান্ধিনগর (Gandhinagar railway station) রেলস্টেশনের একটি বিশেষত্ব রয়েছে যা আর অন্য কোনও রেলস্টেশনে নেই। এই রেলস্টেশনটিতে রয়েছে অনেক আধুনিক সুবিধা। এখানে আলাদা প্রার্থনার ঘর এবং শিশুদের খাওয়ানোর ঘর রয়েছে।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি ছোট হাসপাতালও তৈরি করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হ'ল রেল স্টেশনটি পাঁচতারা হোটেলের নীচে নির্মিত। পাঁচতারা হোটেলে পৌঁছানোর জন্য, স্টেশনের অভ্যন্তর থেকেই একটি গেট প্রস্তুত করা হয়েছে।
স্টেশনের অভ্যন্তরে নির্মিত এই গেটের সাহায্যে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে সরাসরি হোটেলে পৌঁছতে পারবেন। পাঁচতারা ভবনের নীচে মূল প্রবেশপথের কাছে টিকিট কাউন্টারের পাশে একটি লিফট এবং এসকেলেটর বসানো হয়েছে, যাতে লোকেরা প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে কোনও সমস্যায় না পড়েন।
স্টেশন চত্বরে নির্মিত নতুন ভবনে প্রবেশর এন্ট্রি গেট, বুকিং, লিফট-এসকেলেটর, বইয়ের স্টল, খাবারের স্টল সহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। একই সঙ্গে গুজরাতের বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভের ছবিও এখানে দেয়ালে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে রেলওয়ে স্টেশনের অভ্যন্তরে নির্মিত অযোধ্যার রাম মন্দিরের চিত্র মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
রেলওয়ে স্টেশনের উপরের দিকে একটি ৩০০ কক্ষের পাঁচতারা হোটেল তৈরি করা হয়েছে, এই হোটেল লীলা গ্রুপের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। গান্ধীনগর রেলওয়ে স্টেশনে নির্মিত এই পাঁচতারা হোটেলটি সম্পর্কে বিশেষ বিষয় হ'ল এটি গান্ধীনগরের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং।
এই বিল্ডিং থেকে লোকেরা পুরো গান্ধীনগর, মহাত্মা মন্দির এবং বিধানসভাকে এক লাইনে দেখতে সক্ষম হবেন। এখান থেকে পায়ে হেঁটে মহাত্মা মন্দির এবং ডান্ডি কুটিরও যাওয়া যাবে।
সেইসঙ্গে ভারতীয় রেলপথকে নতুন মাত্রা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভিশনও গুজরাতের গান্ধীনগর রেল স্টেশন থেকে শুরু হয়েছে।
এই রেলস্টেশনে নির্মিত পাঁচতারা হোটেল থেকে লোকেরা প্রচুর উপকৃত হবে। এখানে আসা লোকদের আর হোটেল নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।