ভয়াবহ পরিস্থতি গোটা দেশের। গত সপ্তাহ থেকেই দৈনিক আক্রান্ত থাকছে ৩ লক্ষের ওপরে। মহারাষ্ট্র ও দিল্লির পর উত্তরপ্রদেশ করোনার নতুন হটস্পটে পরিণত হয়েছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে দেশের এই ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যেই আশার খবর শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ এবার শান্ত হতে চলেছে বলেই দাবি করছেন তাঁরা। আইআইটি-র প্রফেসর মণিন্দ্র আগরওয়াল এবং তাঁর দলের গবেষণা অনুসারে দেশ এখন করোনার শিখরে রয়েছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে করোনা সংক্রমণ শিখরে উঠবে।
আইআইটি কানপুরের প্রফেসর মণীন্দ্র আগরওয়াল কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত কমিটির সদস্যও বটে। তিনি এবং তাঁর দলের রিসার্চ অনুসারে দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশে করোনা সংক্রমণ এখন শিখরে রয়েছে। তবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সংক্রমণ কমতে শুরু করবে। এবং জুন মাসে পরিস্থিতি অনেকটাই শোধরাবে।
মণীন্দ্র আগরওয়ালের মতে, এখন দিল্লিতে করোনার মামলা আর বেশি বাড়বে না। দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ চার লক্ষ পর্যন্ত যেতে পারে। আর উত্তরপ্রদেশের দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার পর্যন্ত যেতে পারে, তবে এর থেকে আর বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
মণীন্দ্র আগরওয়ালের মতে, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তবে তার তেমন প্রভাব পড়বে না। উত্তর প্রদেশেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণে গ্রামে সংক্রমণ কিছুটা বাড়বে।
আইআইটির অধ্যাপকের মতে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে রয়েছে, অন্যদিকে রাজধানী দিল্লিও শিখরে রয়েছে। একইভাবে, উত্তরপ্রদেশ একাধিক শহর, যেমন লখনউ এবং বারাণসিও করোনা সংক্রমণে এখন শিখরে রয়েছে। বিহারে আগামী দিনে আরও কিছুটা সংক্রমণ বাড়বে। রাজস্থান এবং মধ্য প্রদেশও প্রায় তাদের শীর্ষে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই করোনার ভাইরাসের গ্রাফ নিম্নগামী হবে বলে আশার আলো দেখাচ্ছেন আইআইটি কানপুরের অধ্যাপকরা।