লাদাখের প্যাংগং লেকের (pangong lake) পাশ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত (india) ও চিন (china) উভয়েই।
ইতিমধ্যেই সেখান থেকে ট্যাঙ্ক (tank) এবং পদাতিক সেনা (infantry )সরাতে শুরু করেছে দুই দেশ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রথম দফার নিরস্ত্রিকরণের প্রক্রিয়া হিসেবে সেখান থেকে ট্যাঙ্ক সরাতে শুরু করে ভারত। সেগুলিকে নয়মা এবং সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে রাখা হয় ভারতের তরফে।
অন্যদিকে চিন তাদের সেনাসিরিজাপ ও মলদো গ্যারিসনের ওপারে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই সেনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে গত সপ্তাহ থেকেই।
চলতি সপ্তাহেই প্যাংগং লেকের দুই পাড় থেকে দুই দেশ সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানা যাচ্ছে।
দু'দেশের মধ্যে সেনা সরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে একদিকে হটলাইনে আলোচনা অন্যদিকে ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি চুষুল সেক্টরে দুপক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে।
প্রথম পর্যায়ের নিরস্ত্রিকরণের শেষ হওয়ার পরে দুই দেশ ফের আলোচনায় বসবে বলে জানা গিয়েছে।
সেই সময় দুইপক্ষই দুদেশের মধ্যে থাকা বিতর্কিত অঞ্চলগুলি নিয়ে আলোচনা করবে। এর মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ এবং পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত বৃহস্পতিবার সংসদে জানিয়েছিলেন, নিরস্ত্রিকরণ করছে দুইপক্ষই। উভয়পক্ষের সমঝোতায় পৌঁছতে ভারতকে কিছুই হারাতে হয়নি।
তবে ভারতকে এবার ফিঙ্গার তিনের কাছে ধান সিং থাপা পোস্টের কাছে পৌঁছতে হবে। অন্যদিকে চিনকে ফিঙ্গার আটের পূর্ব দিকে যেতে হবে।
চিন সেখানকার স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করায় দু'দেশ এতদিন পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দুদিকে প্রায় ৫০ হাজার সেনার জমায়েত করেছিল।
সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত বছর এপ্রিল যেখানে ছিল দু'দেশের সেনা, তত পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত এবং চিন। অর্থাৎ উত্তর তীরে ফিঙ্গার ৩-এর ঘাঁটিতে সরে আসবে ভারতীয় সেনা। আর ফিঙ্গার ৮-এর পূর্বে স্রিজাপ সেক্টরে ফিরেযাবে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। একইভাবে দক্ষিণ তীরে ভারতীয় এবং চিনা সেনা যথাক্রমে চুশুল এবং মলডোতে ফিরে যাবে।
জানা যাচ্ছে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রবীন বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়াল ওরামের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের সংসদীয় কমিটি পূর্ব লাদাখ সেক্টরের প্যাংগং ও গ্যালওয়ান উপত্যকা পরিদর্শন করবেন।