গত এক সপ্তাহে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের হাতে এসেছে একের পর এক সুখবর। মুদ্রাস্ফীতি কমা থেকে শুরু করে কর আদায়ে রেকর্ড বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক দিক থেকে সরকার বেশ স্বস্তিতে।
প্রথম সুখবরটি এসেছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান থেকে। সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি নেমে এসেছে মাত্র ০.২৫ শতাংশে, যা ২০১২ সালের পর সবচেয়ে কম। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ১.৪৪ শতাংশ। জিএসটি কমানোর প্রভাব এবং খাদ্যদ্রব্যের দামের পতনই এই উন্নতির মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় সুখবর এসেছে মুডিজের রিপোর্ট থেকে। তাদের ‘গ্লোবাল ম্যাক্রো আউটলুক ২০২৬-২৭’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংকট ও নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আগামী দুই বছরে ভারত প্রায় ৬.৫ শতাংশ হারে উন্নতি করবে। মুডিজ জানিয়েছে, জি-২০ দেশগুলির মধ্যে ভারতই থাকবে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির তালিকায়।
তৃতীয় সুখবর কর রাজস্বে। চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ কর আদায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৯২ লক্ষ কোটি টাকা। জিএসটি হার কমলেও অক্টোবর মাসে জিএসটি আদায় হয়েছে ১.৯৬ লক্ষ কোটি টাকা, যা আগের মাসের তুলনায় বেশি। কর আদায়ের এই বৃদ্ধিতে সরকারের আর্থিক স্থিতি আরও মজবুত হয়েছে।
এছাড়া, চতুর্থ সুখবরটি এসেছে কর্পোরেট ফলাফল থেকে। ব্যাংকিং ও শিল্পক্ষেত্রে বড় কোম্পানিগুলির আয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। টাটা স্টিলের মুনাফা বেড়েছে ২৭২ শতাংশ, ইনফোসিসের ১৩.২ শতাংশ, ভারতী এয়ারটেলের ৮৯ শতাংশ, মুথুট ফাইন্যান্সের ৯০ শতাংশ এবং এশিয়ান পেইন্টসের মুনাফা বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।
সবশেষে, পঞ্চম সুখবরটি এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এইচ-১বি ভিসা নীতিতে শিথিলতা আনতে রাজি। তাঁর মতে, আমেরিকায় দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে এবং বিদেশি ট্যালেন্টের প্রয়োজন। পাশাপাশি ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির দিকেও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি এবং ভারতের উপর আরোপিত ৫০ শতাংশ ট্যারিফ কমানোর কথা বলেছেন।