Advertisement

দেশ

দুনিয়ার সব দুর্যোগের আগাম খবর দেবে ISRO আর NASA-র NISAR

Aajtak Bangla
  • 28 Oct 2020,
  • Updated 4:16 PM IST
  • 1/9

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা নাসা  ২০২২ সালে একটি উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। এই উপগ্রহের বিশেষত্ব হল  পুরো বিশ্বকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করবে। অর্থাৎ, আমরা প্রাকৃতি  দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের অনেক  তথ্য আগে থেকেই পেয়ে যাব। এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল আর্থ পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ। এর নাম NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar বা ছোট করে বললে  NISAR। এর জন্য ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। (ছবি: ইসরো / নাসা)

  • 2/9

এই স্যাটেলাইট মহাকাশে কাজ শুরু করার পরে টর্নেডো, আগ্নেয়গিরি, পৃথিবীর ভূত্বক, ভূমিকম্প, হিমবাহ গলে যাওয়া, ঝড়, দাবানল, সমুদ্রে জলস্তরে বৃদ্ধি বা হ্রাস, বন্যা এই ধরণের বিপর্যয় নিয়ে সবার আগে তথ্য দেবে। এর পাশাপাশি এটি পর্যায়ক্রমে মহাকাশে জঞ্জাল এবংপৃথিবীতে আগত বিপদ সম্পর্কেও অবহিত করবে। (ছবি: ইসরো / নাসা)

  • 3/9

ইসরো এবং নাসা মিলে Space Situational Awareness নামে একটি প্রকল্প চালাচ্ছে। এর আওতায় নিসার-কে উৎক্ষেপণ করা হবে। নিসারে দুটি ধরণের ব্যান্ড 'এল' এবং 'এস' থাকবে। এই দু'টিই পৃথিবীতে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করার দিকে নজর রাখবে, পাশাপাশি আলোর  প্রভাব কম-বেশি হওয়া নিয়েও গবেষণা করবে। (ছবি: ইসরো / নাসা)
 

  • 4/9

এর রাডারটি এত শক্তিশালী হবে যে এটি ২৪০  কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এলাকার স্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম। এটি ১২  দিন পরে পৃথিবীতে কোনও জায়গার ছবি ফের তুলতে পারবে। কারণ পৃথিবীর এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হতে এই উপগ্রহের ১২ দিন সময় লাগবে। এই সময়ে, এটি পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীদের কাছে ছবি এবং ডেটা সরবরাহ করতে থাকবে। (ছবি: ইসরো / নাসা)  

  • 5/9

মনে করা হচ্ছে এই স্যাটেলাইটটি  উৎক্ষেপণের পর কমপক্ষে ৫ বছর ধরে কাজ চালিয়ে যাবে। এই সময়কালে আগ্নেয়গিরি, ভূমিকম্প, ভূমিধস, বনভূমি, চাষবাস, ভেজা মাটি, অতিরিক্ত বরফ এই বিষয়গুলি নিয়ে নিসারের মাধ্যমে আরও গভীর ভাবে গবেষণা করা হবে। এছাড়াও, এই জাতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মানুষকে বাঁচাতে সহায়তা করবে নিসার। (ছবি: ইসরো / নাসা)
 

  • 6/9

ইসরোয়ের আহমেদাবাদ স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের পাঁচ জন বড় বিজ্ঞানী এই স্যাটেলাইটটি তৈরিতে সহায়তা করছেন। তারা ভবিষ্যতের গবেষণাতেও সহায়তা করবেন। এদের মধ্যে বাঙালিও রয়েছেন। এরা হলেন তপন মিশ্র, মনব চক্রবর্তী, রাজকুমার, অনুপ দাস এবং সন্দীপ ওঝা। তাঁরা মার্কিন গবেষণা কেন্দ্র  নাসাকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক পরিবর্তনগুলি নিয়ে তথ্য পেতে করতে সহায়তা করবেন। (ছবি: ইসরো / নাসা)
 

  • 7/9

কোন রকেট  এবং স্থান থেকে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে এতা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি ভারতের জিএসএলভি-মার্ক 2 রকেট থেকেই উৎক্ষেপিত হবে।  জিএসএলভি-মার্ক 2  হল ভারতের ভারী স্যাটেলাইট বহনকারী  একটি রকেট। (ছবি: ইসরো / নাসা) 
 

  • 8/9

নিসার স্যাটেলাইটে একটি বিশাল বেস থাকছে। যা অনেক সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত হবে। এছাড়াও এতে অনেক ট্রান্সপন্ডার, দূরবীণ এবং রাডার সিস্টেম থাকবে। এর বাইরের দিকে একটি বাহু বেরিয়ে আসবে, যার উপরে একটি সিলিন্ডার থাকবে। যদি এই সিলিন্ডারটি চালু হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে খোলে, তবে ডিশ  অ্যান্টেনার মতো একটি বড় ছাতা বেরিয়ে আসবে। এই ছাতাটিই আসলে  সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার। এটি পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক ক্রিয়াকলাপগুলির চিত্রায়ন করবে। (ছবি: ইসরো / নাসা)
 

  • 9/9

নিসার  উপগ্রহটি চালু হওয়ার পরে পুরো বিশ্ব ইসরো এবং নাসার মুখাপেক্ষী হয়ে পড়বে। কারণ এটি পুরো বিশ্বকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে। এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জাইশংকর,মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারের মধ্যে চুক্তি হয়এছে। টু-প্লাস-টু স্তরের বৈঠকে এমনটাই জানা গিয়েছে।

Advertisement
Advertisement