Chambal Gharial Hatchlings: চম্বল নদীতে ডিম ফেটে বেরোচ্ছে শয়ে শয়ে ঘড়িয়াল, দেখুন PHOTOS

ধৌলপুর চম্বল নদীর মোহনায় প্রায় ১৫০০টি ঘরিয়ালের শাবক প্রাকৃতিকভাবে জন্মগ্রহণ করেছে। জাতীয় চম্বল ঘরিয়াল অভয়ারণ্য ধৌলপুরের কর্মকর্তারা ঘরিয়াল ডিমের যত্ন নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছিলেন।
 

উত্তরপ্রদেশের আগ্রা জেলার ওয়াহ এলাকার পাশাপাশি রাজস্থানের ধৌলপুর, কারাউলি, সাওয়াই মাধোপুর, কোটা এবং মধ্যপ্রদেশের দেওরিতে কুমির সংরক্ষণ এবং সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অনেক কিছু করা হচ্ছে।
 

কিন্তু মধ্যপ্রদেশের দেবরী ঘরিয়াল প্রজনন কেন্দ্রে, ডিম থেকে বের হওয়া ঘড়িয়ালগুলিকে তাৎক্ষণিকভাবে চম্বল নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয় না। কর্মীরা তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করেন এবং যখন ঘড়িয়ালগুলি বড় হয় তখনই কেবল তাদের চম্বল নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
 

ধৌলপুর জাতীয় চম্বল অভয়ারণ্যের উপ-বন সংরক্ষক ডঃ আশীষ ব্যাস, বন বিভাগের উপ-বন সংরক্ষক ভি. চেতন কুমার এবং আঞ্চলিক বন কর্মকর্তা দীপক কুমার মীনা চম্বল নদীর তীরে বাসা বাঁধার স্থানগুলি শ্রমিকদের দ্বারা দেখাশোনা করেন।
 

তিনি জানান, চম্বল নদীর তীরে ডিম থেকে প্রায় ১৫০০টি ঘড়িয়াল ডিম পাড়ে। শঙ্করপুরা, আন্দোয়াপুরাইনি, হরিগির বাবা এবং বাসাই ডাং এলাকার ঘাটগুলিতে ঘরিয়াল হাজার হাজার ডিম পাড়ে এবং এখন ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে এসেছে। যার কারণে চম্বলের এই ঘাটগুলির তীরে তাদের দলে দলে লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়।

মধ্যপ্রদেশের দেওরি ঘরিয়াল লালন-পালন কেন্দ্রে ২০০টি ঘড়িয়ালের ডিম পাড়ার মধ্যে ১৯৫টি ডিম ঘড়িয়াল নিরাপদে বেরিয়ে এসেছে এবং ৫টি ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি বছর চম্বল অভয়ারণ্যের বাসা থেকে ২০০টি ডিম সংগ্রহ করা হয় এবং দেওরি ঘড়িয়াল লালন-পালন কেন্দ্রের ক্যাপটিভ হ্যাচারিতে রাখা হয়।
 

এখানে সাধারণ মানুষের মতোই কুমির শাবকগুলোর যত্ন নেওয়া হয়। এরপর কুমিরের দৈর্ঘ্য ১.২ মিটার হয়, তখন সেগুলোকে চম্বল নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদি দৈর্ঘ্য কম হয়, তাহলে সেগুলোকে দেওরি অভয়ারণ্য কেন্দ্রে রাখা হয় এবং দৈর্ঘ্য সম্পূর্ণ হলে চম্বল নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
 

দেওরি ঘড়িয়াল প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ জ্যোতি দন্ডোটিয়ার মতে, প্রতি বছর ১৫ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত, চম্বল অভয়ারণ্য থেকে দুই শতাধিক ডিম দেওরির ক্যাপটিভ হ্যাচারিতে রাখা হয়। যেখানে একটি চেম্বার তৈরি করা হয় এবং তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি থেকে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে বজায় রাখা হয়।
 

এরপর কৃত্রিমভাবে ডিম ফোটানো হয়। তিনি বলেন যে, ঘড়িয়ালরা ফেব্রুয়ারি মাসে সঙ্গম করে। তারা এপ্রিল মাসে ডিম পাড়ে এবং মে ও জুন মাসে ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়। স্ত্রী ঘড়িয়াল বালিতে ৩০ থেকে ৪০ সেমি গভীর গর্ত খুঁড়ে ১৮ থেকে ৫০টি ডিম পাড়ে।
 

যদি একটি স্ত্রী ঘড়িয়াল প্রথমবার ডিম পাড়ে, তাহলে সে ১৮ থেকে ৩০টি ডিম দিতে পারে এবং এর পরে, দ্বিতীয়বার ডিমের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। প্রায় এক মাস পর, ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়।