বিবেকানন্দের মূর্তির সামনে গেরুয়া বসন পরে ধ্যান করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। জড়ানো গেরুয়া উত্তরীয়। হাতেও নামজপের রুদ্রাক্ষ মালা।
কখনও হাত জড়ো করে, কখনও দুহাত জানুর উপর রেখে নাম জপের ভঙ্গিমা চোখ বুজে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এখানে স্বামী বিবেকানন্দ সাধনা করেছিলেন। সেখানে বসে ধ্যান করছেন পিএম মোদী। দেখা যাচ্ছে, কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে বসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল, ১ জুন চূড়ান্ত ভোটের দিন পর্যন্ত ধ্যানমগ্ন থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালে কন্যাকুমারীতে ধ্যান করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত মেমোরিয়ালে বসে ধ্যান করছেন পিএম মোদী। সেই কারণে বিবেকানন্দ রকটি এখন আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বিশ্বাস করা হয় যে, স্বামী বিবেকানন্দের জীবনে এই রকে বসে ধ্যান করার আলাদা গুরুত্ব ছিল।
কথিত আছে, সেই সময়ে বিবেকানন্দ এই দ্বীপে তিন দিন তিন রাত ছিলেন। সেই ধ্যানের মাধ্যমে তিনি প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।
বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল হল দক্ষিণভারতে কন্যাকুমারীতে অবস্থিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ। যা সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে অবস্থান করছে।
এই বিবেকানন্দ রক দেখতে লাখ লাখ মানুষ যান। ভারতের জনপ্রিয় পর্যটনস্থলের মধ্যে অন্যতম এই জায়গা।
গতকাল ৩১ জুন প্রধানমন্ত্রীর ধ্যান শুরু করেন। প্রথমে তিনি কন্যাকুমারী ভগবতী আম্মান মন্দিরে পুজা করেন। এবং আশীর্বাদ নেন।
প্রাচীন গ্রন্থে এই মন্দিরের উল্লেখ আছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কন্যাকুমারী দেবীর মূর্তিটি পরশুরাম ৩ হাজার বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
৪৫ ঘন্টা ধ্যানের পর প্রধানমন্ত্রী রক মেমোরিয়ালের কাছে তিরুভাল্লুভার মূর্তির মালা অর্পণ করবেন।
তামিল কবি এবং দার্শনিক ভাল্লুভারের ৪১ মিটার উঁচু পাথরের মূর্তি রয়েছে সেখানে। তিরুভাল্লুভার নামে বেশি পরিচিত তিনি।
এই মূর্তিটি একটি ৩৮ ফুট পাদদেশের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
২০১৯ সালেও প্রধানমন্ত্রী ধ্য়ানে বসেছিলেন। সেবার তিনি কেদারনাথে ধ্যান করেছিলেন। সেবার রুদ্র গুহায় প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধ্যান করছিলেন প্রধানমন্ত্রী।