শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের কোভিড -১৯ পরিস্থিতি এবং টিকাকরণ নিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দু'ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার 'ওমিক্রন' ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগজনক বলে ঘোষণা করে। ভারতের এবং অন্যান্য দেশে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা এবং হংকং-এর মতো দেশগুলিতে শনাক্ত করা হয়েছে।
'ওমিক্রন'-এর নতুন ভ্যারিয়েন্টে নিয়ে সতৰ্ক থাকার পরমমর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা খানিক স্বস্তি দিতে পর্যালোচনা হয়। শুক্রবার, ভারত সরকার ২০ মাস পরে ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বিমানগুলি আবার শুরু হবে হবে জানায়। তবে 'বাবল' বিমানই চালু হবে।
জনগণকে আরও সতর্ক হয়ে, মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্বের মতো যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি 'ঝুঁকিপূর্ণ' দেশগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা জারি করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের নমুনা পাঠাতে হবে। সিকোয়েন্সিং অনেক বাড়াতে হবে বলে জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ‘হর ঘর দস্তক’ অর্থাৎ ঘরে ঘরে টিকাকরণের ওপর জোর দেন। দেশে দ্বিতীয় ডোজ কভারেজ বাড়ানো প্রয়োজন বলেও জানান। রাজ্যগুলিকে যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তাদের সময়মতো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আধিকারিকদের আরও নির্দেশ দেন, কন্টেনমেন্ট জোন থেকে কোথায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেই জায়গাগুলি চিহ্নিতকরণের করানোর কথা বলেন। কোভিড ক্লাস্টারগুলিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া উচিত, বলে তিনি জানান।