বাংলায় বৃষ্টি চললেও আচমকাই গোটা দেশে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। প্রায় ৬০ শতাংশ বৃষ্টিপাতে ঘাটতি হয়েছে গোটা দেশে। এমনটাই খবর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। ব্রেক মনসুন পিরিয়ডের জেরেই এই পরিস্থিতি, জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।
কিন্তু ভরা বর্ষার মাঝে কেন আচমকাই ঘাটতি দেখা দিচ্ছে বৃষ্টিতে? আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু গত সপ্তাহ থেকেই দুর্বল হতে শুরু করে। এটাকে মৌসুমি বায়ুর বিরতির সময়কালও বলা যেতে পারে। মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্সের সেক্রেটারি এম রাজীবন জানান, ‘ জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মৌসুমী বায়ুর এই দুর্বলতা বা বিরতি পর্বটা চলবে। এটা মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় হওয়ার আগের একটা অংশ বলা যেতে পারে।’
তবে প্রায তিন সপ্তাহের সেই বিরতি এবার কাটতে চলেছে। ফের সক্রিয় হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। ৮ তারিখ থেকেই এই সক্রিয়তা শুরু হচ্ছে। ফলে জুলাইতে স্বাভাবিক বৃষ্টি হবে, রবিবার এমনটাই জানিয়েছেন মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্সের সেক্রেটারি এম রাজীবন।
জুনের প্রথম দুই সপ্তাহের দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকলেও শেষ তিন সপ্তাহে সেভাবে মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতি বৃদ্ধি পায়নি। ফলত বর্ষা এখনও পর্যন্ত রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের কিছু অংশে প্রবেশ করেনি বলে আগেই জানিয়েছিল মৌসম ভবন।
আইএমডি (IMD) জানিয়েছে, জুলাই মাসে গোটা দেশেই স্বাভাবিক বর্ষার বৃষ্টি হবে। কাজেই ফলন নিয়ে উদ্বেগে থাকতে হবে না চাষীদের। কারণএই তিন মাসের বৃষ্টির উপরেই গোটা দেশের ফলন নির্ভর করে। যদিও আইএমডির পক্ষ থেকে আগেই বর্ষায় স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
প্রথম সপ্তাহে সেরকম বৃষ্টি না হলেও জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাড়তে শুরু করবে বৃষ্টি। এবং সেই বৃষ্টির পরিমানই গোটা মাস ধরে বজায় থাকবে। গোটা দেশেই সেটা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের দুটি জেলায় এবং দক্ষিণবঙ্গের তিনটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার উত্তর-পশ্চিম রাজস্থান থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি রবিবার পূর্ব উত্তর প্রদেশ থেকে বিহার হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ, অসম হয়ে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এছাড়াও অপর একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তর-পূর্ব বিহার থেকে উত্তর-পূর্ব ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দক্ষিণ উপকূল ওড়িশা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবেই বৃষ্টি চলবে রাজ্যে।
হাওয়া অফিস বলছে উত্তরবঙ্গে আগামীকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে। তবে ধীরে ধীরে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। বিহার সংলগ্ন জেলাগুলিতে একাধিক নদীর জলস্তর ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং- ধস নামার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।