গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ১৭০ জন। আর মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬১ জনের।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেলাগাম সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসকে রুখতে বড় পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার। এবার দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছিল৷ এর মাঝেই পশ্চিমবঙ্গ সহ অনেক রাজ্যই ভ্যাকসিনের আকালের অভিযোগ তুলছে।
ভ্যাকসিন যখন অপ্রতুল তখন সামনে এল এক চমকে দেওয়া খবর। তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চাওয়া হয়েছিল, দেশে কতটা করোনা টিকা অপচয় হয়েছে। তারই জবাবে বলা হয়েছে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা ১০ কোটিরও বেশি ডোজ়ের মধ্যে ৪৪ লক্ষের উপরে ডোজ নষ্ট করা হয়েছে।
তথ্য বলছে, তামিলনাড়ুতে সর্বাধিক ১২.১০ শতাংশ টিকার ডোজ নষ্ট করা হয়েছে।
তালিকায় দক্ষিণী রাজ্যের পরেই রয়েছে হরিয়ানা। সেরাজ্যে ৯.৭৪ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে। এরপর তালিকায় পরপর রয়েছে যথাক্রমে পঞ্জাব (৮.১২ শতাংশ), মণিপুর (৭.৮ শতাংশ) ও তেলাঙ্গানা (৭.৫৫ শতাংশ)।
তবে ভ্যাকসিন সাশ্রয়ের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের পারফরম্যান্স ভালো। যে রাজ্যগুলিতে সবচেয়ে কম টিকার ডোজ নষ্ট হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
এছাড়া যে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভ্যাকসিন নষ্ট হয়নি বললেই চলে তার মধ্যে রয়েছে কেরল, হিমাচল প্রদেশ, মিজোরাম, গোয়া, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দামান এবং দিউ, লাক্ষাদ্বীপ৷
ভ্যাকসিনের অপ্রতুল জোগানের অভিযোগ নিয়ে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, দিল্লির মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যত রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে৷ বিরোধী শাসিত এই রাজ্যগুলির অভিযোগ, জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন তাদের দেওয়া হচ্ছে না৷