১০ সেপ্টেম্বর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। তার আগের আজ বিহারে মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী এবং লালু প্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবের জন্মদিন। ছেলের এই বিশেষ দিনে বাবা লালু প্রসাদ পুত্র তেজস্বীকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, মঙ্গলবার বিহারের জনতা তাঁকে জন্মদিনের উপহার দিতে চলেছেন।
জানা যাচ্ছে, বাবার সঙ্গে জন্মদিনের রাতে কথা বলতে ৩ বার ফোন করেছিলেন তেজস্বী। কিন্তু লালুপ্রসাদ ঘুমিয়ে পড়ায় আর রাতে কথা হয়নি। শেষপর্যন্ত জন্মদিনের সকালেই পিতা-পুত্রের কথা হয়। লালু নিজেই ছেলেকে ফোন করে আশীর্বাদ করেন। বলেন, "এই জন্মদিনটি তোমার বিশেষ হতে চলেছে। আজ রাজ্যের মানুষ জন্মদিনের অভিনন্দন জানাবে এবং আগামীকাল ভোটের গণনা শেষে উপহারটি পাবে।" দু'জনের মধ্যে প্রায় আধঘণ্টা কথা হয়। জনতার সঙ্গেই ছেলেকে ৩১ তম জন্মদিন উদযাপন করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান।
মঙ্গলবার বিহার বিধানসভা ভোটের ফলাফল। বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে বিহারে মসনদে বসার বিষয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব।তবে লালুপুত্রের ৩১তম জন্মদিনে কিন্তু আরজেডি সমর্থকদের চেনা ভিড় বা উল্লাসের ছবি কোনওটারই দেখা যায়নি তাদের ১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়ির বাইরে। তেজস্বী নিজেই তাদের সেলিব্রেশনে মেতে ওঠার ক্ষেত্রে করতে বলেছেন কিছুটা অপেক্ষা।
বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে এবার বিহার হাতছাড়া হতে চলেছে এনডিএ জোটের। অন্যদিকে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট ক্ষমতায় আসতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকে পেছনে ফেলে কুর্সি দখল করতে চলেছেন লালুর ছোটপুত্র।তবে সেই আবেগে ভাসতে রাজি নন। তাই জন্মদিনের দিনি নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেক কেটেই কাটালেন তেজস্বী।
এবার তেজশ্বীর জন্মদিনটি অন্যভাবে পালিত হয়েছে। লালু কন্যা ও জামাতাদের এবার তেজস্বীর জন্মদিনে দেখা গেছে। লালু যাদবের বড় মেয়ে মিসা ভারতী জন্মদিনের কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এই ছবিগুলিতে দেখা গেছে রাবরি দেবী, তেজ প্রতাপ যাদব এবং তেজস্বী যাদবকে।
রাজ্যসভার সাংসদ ও তেজস্বী যাদবের বড় দিদি মিসা ভারতী পুরো বিহার নির্বাচনের সময় কোথাও প্রচারে হাজির হননি। তিনি নির্বাচনী জনসভাতেও অংশ নেননি। এবার পুরো প্রচার থেকে দূরে ছিলেন মিসা ভারতী। তবে তেজশ্বী যাদবের জন্মদিন উদযাপনে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। তাঁকে ভাইকে কেক খাওয়াতেও দেখা যায়।
লালু জেল থেকে বেরোলেই তিনি জন্মদিন উদযাপন করবেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন তেজস্বী। তবে জন্মদিন উপলক্ষে রাবরি দেবীর বাসায় একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে তেজস্বী যাদবের অন্যান্য বোনকেও দেখা যায়। এর সাথে ভগ্নিপতিদেরও দেখা যায়। এতেই অনুমান করা হচ্ছে, সমস্ত পরিজনরা এখানে এসেছেন তেজস্বীর রাজ্যাভিষেকের জন্য।
ভোটের গণনা ও ফলপ্রকাশের দিনে যাতে কোনরকম অশান্তি না বাঁধে, দলের কর্মীরা যাতে সুশৃঙ্খল থাকেন, সে বিষয়ে গত রবিবারই দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেছেন তেজস্বী। ট্যুইটে তেজস্বী বলেছেন, ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, সমস্ত কর্মী যেন শান্তি-শৃ্ঙ্খলা বজায় রাখেন।