এবার থেকে কাজে যোগ দেওয়ার আগে নির্দিষ্ট রেজিস্টারে পকেটে কত টাকা আছে, সেই পরিমাণ লিখিত ভাবে জানিয়ে সই করতে হবে RPF কর্মীদের। প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা, ট্রেনের ডিউটিতে থাকা, গুডস শেডে ডিউটি করা বা স্ক্র্যাপ হস্তান্তরে নজরদারির দায়িত্বে থাকা সমস্ত RPF কর্মীদেরই এই নিয়ম মানতে হবে।
শুধু তাই নয়, নয়া নিয়মে ডিউটি চলাকালীন কর্মীরা কত টাকা নিজের কাছে রাখতে পারবেন, সেটিরও ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে RPF কর্তৃপক্ষ। এ মাসেই এই নির্দেশিকা দিয়েছেন RPF ডিজি কুমার রাজেশ চন্দ্র।
কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সারাদিনের ডিউটি থাকলে সর্বোচ্চ ৭৫০ টাকা নিজের কাছে রাখতে পারবেন RPF কর্মীরা। ট্রেনের নিরাপত্তার মতো ভ্রাম্যমাণ কোনও ডিউটি থাকলে সর্বোচ্চ ২,০০০ টাকা নিজের কাছে রাখা যাবে।
কিন্তু কোনও RPF কর্মীর যদি এর বেশি টাকা নিজের কাছে রাখার প্রয়োজন পড়ে তখন? সে ক্ষেত্রে নিজের কাছে অতিরিক্ত টাকা রাখার কারণ ও অতিরিক্ত নোটের নম্বর রেজিস্টার খাতায় লিখে রাখতে হবে। RPF কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে কোনও সময় ঊর্ধ্বতন অফিসাররা এই রেজিস্টার খাতা দেখে কর্মীর কাছে থাকা টাকার পরিমাণ মিলিয়ো দেখতে পারেন।
কোনও RPF কর্মীর কাছে অতিরিক্ত টাকা থাকলে এবং ওই টাকা কী ভাবে তার কাছে এল, তার উপযুক্ত ব্যাখ্যা বা প্রমাণ না দিতে পারলে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেলের নিরাপত্তা ও চেকিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
নিরাপত্তারক্ষীদের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (RPF) বিরুদ্ধেও। এই অনিয়ম কড়া হাতে দমন করতেই এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
বিশেষ অভিযান, তল্লাশি ও স্পেশাল চেকিংয়ের দিনে নিরাপত্তার ফাঁক গলে অবৈধ কাজ বা লেনদেন ঠেকাতে নিরাপত্তা বা চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের উপরেই বিশেষ নজরদারি চালাবে RPF কর্তৃপক্ষ। অসাধু কর্মীদের চিহ্নিত করতে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’-এও আসতে পারেন ঊর্ধ্বতন RPF অফিসাররা।