বাংলায় যখন তীব্র তাপপ্রবাহে কাহিল মানুষরা। তখন দেশের কয়েকটি রাজ্যে অন্য ছবি। সেখানে বরফ পড়ছে। বাংলায় তাপমাত্রা যখন ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তখন ওই জায়গাগুলিতে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নীচে।
গতকাল মানালি সহ হিমাচল প্রদেশের কিছু অংশে তুষারপাত হয়েছে। রোহটাং পাসের অটল টানেল ঢেকে গিয়েছে তুষারের চাদরে। এর জন্য ওরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের বিচ্ছিন্ন জায়গায় হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বুধবার হিমাচল প্রদেশে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার বরফ পড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের উঁচু অঞ্চলগুলিতে। টানা দ্বিতীয় দিন তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে সেখানে। কুপওয়ারা জেলার কেরান ও মাচিল সহ উপত্যকার উপরের অংশে, বান্দিপোরা জেলার গুরেজ এবং গান্দেরবাল জেলার সোনামার্গে হালকা তুষারপাত হয়েছে।
লাদাখেও কিছু এলাকায় নতুন তুষারপাত হয়েছে। লেহের মিনিমার্গ এলাকা এবং কার্গিলের জোজিলাতে নতুন করে তুষারপাত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথের আশেপাশের চূড়াগুলিতে নতুন তুষারপাত হয়েছে।
তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে চারধাম যাত্রার প্রস্তুতি ধাক্কা খেয়েছে। কেদারনাথ এবং সংলগ্ন অঞ্চলে তুষারপাতের ফলে মন্দিরে যাওয়ার ট্র্যাক রু বন্ধ হয়ে যায়। ২৫ এপ্রিল খুলছে কেদারনাথ মন্দির।
২৭ এপ্রিল তীর্থযাত্রীদের জন্য বদ্রীনাথ মন্দির আবারও খোলা হবে এবং গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী মন্দির ২২ এপ্রিল খোলা হবে। তুষারপাত, বৃষ্টি এবং ঠান্ডা হাওয়ার কারণে চামোলি এবং রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে গিয়েছে।