রাজস্থানের ধোলপুরে চব্বিশ বছরের এক তরুণী চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে নিজের স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। তরুণীর অভিযোগ শ্বশুর তাঁকে ধর্ষণ করেছে। আর স্বামী তাঁকে অপ্রাকৃতিক যৌন সম্পর্কে জোর করতো। তবে সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা ওই তরুণী যখন পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করতে যান তখন তা নিতে অস্বীকার করা হয়। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই নির্যাতিতা। আদালতের নির্দেশে এরপর পুলিশ মামলা দায়ের করে।
রাজস্থানের ধোলপুর জেলার বারী কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা মহিলার দাবি, বিয়ের পাঁচ মাস পরেই স্বামী তাঁকে কুড়াল দিয়ে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে অপ্রাকৃতিক যৌনাচারে বাধ্য করত। শুধু তাই নয়, মহিলার অভিযোগ, তিনি যখন গর্ভবতী হন, তখন তার স্বামী জোর করে গর্ভপাত করান।
নির্যাতিত তার শ্বশুরের দিকেও অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। শ্বশুরও তাঁকে খুনের হুমকি নিয়ে ধর্ষণ করে বলে দাবি তরুণীর। নির্যাতিতার বক্তব্য, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করার পাশাপাশি যৌতুকের পাঁচ লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আদালতের আদেশের পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৭, ৩৭৬, ৪৯৮ এ, ৪০৬, ৩২৩, ৩৪১, ৩১৩, ৫০৪, ১৪৩ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষাও করেছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছে যে তার পরিবার যৌতুক দেওয়ার রীতি মেনেই ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর মুসলিম মতে বিয়ে দিয়েছিল। বিয়ের সময় মেয়েটির পরিবার তাঁর শ্বশুরবাড়িককে যৌতুকের নগদ এক লক্ষ ৫১ হাজার টাকা পণ এবং বুলেট মোটরসাইকেলসহ সমস্ত জিনিস দিয়েছিল।
দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, বিয়ের ১৫ দিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যৌতুক হিসাবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা শুরু করেয মেয়েটি যৌতুকের কথা মাকে জানালে তিনি তাঁর অক্ষমতা প্রকাশ করেন। এর পরে শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা তরুণীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করে।