সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে G20 বৈঠক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছে। দিল্লি পুলিশ মূলত নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য নোডাল সংস্থা। তবে জি-টোয়েন্টি বৈঠকের নিরাপত্তার জন্য সমস্ত আধাসামরিক বাহিনীকেও মোতায়েন করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, G20 সভার নিরাপত্তার জন্য CRPF গার্ডের ৫০টি দল তৈরি রাখা হয়েছে। থাকবে ১ হাজার জওয়ান। বিশেষ ৫০টিম তৈরি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় তিনশোরও বেশি বুলেটপ্রুফ গাড়ি তৈরি রাখা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সিআরপিএফ-এর ভিআইপি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে যে এক হাজার জওয়ানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা সাধারণ কর্মী নন। এর মধ্যে সেই সমস্ত জওয়ান রয়েছে যারা অতীতে ভিআইপি নিরাপত্তার অংশ ছিল। এরা সেই কমান্ডো যারা এসপিজি এবং এনএসজির মতো নিরাপত্তা ইউনিটের সঙ্গে এক সময় না অন্য সময়ে কাজ করেছে। এই সমস্ত জওয়ানরা বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানদের ভিআইপি রুটের 'কারকেডে' হাঁটবেন। এর পাশাপাশি অনেক জায়গায় নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে সিআরপিএফের বিশেষ ৫০ টিম। কিছু কমান্ডো চালককেও ভিআইপিদের সঙ্গে যাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি পুলিশকেও CRPF-এর ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
দিল্লির IGI বিমানবন্দর এবং গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেস থেকে প্রগতি ময়দান G-20 সামিট পর্যন্ত অতিথিদের আনার জন্য দায়ী থাকবেন প্রশিক্ষিতরা। তাঁদের বিমানবন্দর থেকে বের করে আনতে, মিটিং হলে পৌঁছাতে, তারপর নিরাপদে হোটেলে নিয়ে আসার জন্য কী প্রোটোকল গৃহীত হয়, এগুলিও গ্রেটার নয়ডার কেন্দ্রে চলমান প্রশিক্ষণের একটি অংশ। এই প্রশিক্ষণ চলবে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর ১ দিনের জন্য একটি নিরাপত্তা মহড়া হবে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিদেশি অতিথিরা আসতে শুরু করবেন। তার আগে বিভিন্ন ভিআইপিদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে এই ট্রেন্ড কমান্ডোদের।
সর্বত্র নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য থাকবে সিআরপিএফের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভিআইপি কনভয় থেকে শুরু করে থাকার জায়গা পর্যন্ত নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য বিশেষ কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। হোটেল বা মিটিং প্লেস ত্যাগ করার পরে গাড়িতে ভিআইপিকে কীভাবে এসকর্ট করবেন। সে সময় নিরাপত্তার বিষয়ে কী ধরনের প্রটোকল থাকবে, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্যও কমান্ডোদের দেওয়া হয়েছে। গাড়িতে কীভাবে বসতে হবে, কোনো অঘটন ঘটলে কী নিরাপত্তা ফর্মুলা ব্যবহার করতে হবে, বিপদের আশঙ্কা থাকলে কীভাবে বিদেশি অতিথিদের রক্ষা করতে হবে ইত্যাদি শেখানো হয়েছে। মাঝপথে গাড়িতে কারিগরি সমস্যা দেখা দিলে তার জন্য কীভাবে প্ল্যান বি তৈরি করতে হবে, সেই সঙ্গে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নম্বরের গাড়ির অবস্থান কী হবে এবং কোন গাড়িতে বিদেশি অতিথি আসবেন। স্থানান্তর করা হবে.. অর্থাৎ ভিআইপিদের কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায়, এই সবই বলা হয়েছে জওয়ানদের প্রশিক্ষণে। সূত্র জানায়, এই প্রশিক্ষণ চলবে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর রিহার্সাল হবে এবং এরপর নির্ধারিত স্থানে সব কমান্ডো মোতায়েন করা হবে।
বিদেশী অতিথিরা এখানে থাকবেন নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে, আজতক আপনাকে বিদেশী অতিথিরা কোথায় থাকবেন সে সমস্ত স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারে না, তবে উপলব্ধ তথ্য অনুসারে, দিল্লিতে ২৩টি হোটেল এবং ৯টি হোটেলে বিদেশী অতিথিদের থাকার জন্য একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। এনসিআর-এ। যেসব জায়গায় বিদেশি অতিথিরা থাকবেন তার মধ্যে রয়েছে ওবেরয়, ইম্পেরিয়াল কনট প্লেস, সর্দার প্যাটেল মার্গের আইটিসি মৌর্য, তাজ মান সিং হোটেল, লীলা প্যালেস, তাজ প্যালেস, অশোকা হোটেল, ললিত, শাংরিলা, হায়াত রিজেন্সি, লে মেরিডিয়ান, দ্য লোধি, বিভান্তা। আইটিসি গ্র্যান্ড, ভারত গুরুগ্রাম, ওয়েস্টিন গুরুগ্রাম, দ্য লীলা, অ্যাম্বিয়েন্স কনভেনশন শাহদারা, বিভান্ত সুরজকুন্ড এবং ক্রাউন প্লাজা গ্রেটার নয়ডা।