Advertisement

Shocking: জমির ভাগ নিয়ে ৩ মেয়ের ঝগড়া, ৯ ঘণ্টা শ্মশানেই পড়ে দেহ

শ্মশানে শায়িত মায়ের দেহ। এদিকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিবাদে ব্যস্ত তিন মেয়ে।

মথুরার শ্মশানের ছবি
Aajtak Bangla
  • মথুরা,
  • 15 Jan 2024,
  • अपडेटेड 4:24 PM IST
  • শ্মশানে শায়িত মায়ের দেহ। এদিকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিবাদে ব্যস্ত তিন মেয়ে।
  • ধিক্কারজনক ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের মথুরায়। জানা গিয়েছে, এভাবেই, মায়ের দেহ প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা ধরে শ্মশানে ফেলে রাখা হয়।
  • মাতৃহারা হওয়ার শোক তো দূর অস্ত, বরং কীভাবে মায়ের সম্পত্তির ভাগ হবে, তাই নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন তিন মহিলা।

শ্মশানে শায়িত মায়ের দেহ। এদিকে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিবাদে ব্যস্ত তিন মেয়ে। এমনই ধিক্কারজনক ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের মথুরায়। জানা গিয়েছে, এভাবেই, মায়ের দেহ প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা ধরে শ্মশানে ফেলে রাখা হয়। মাতৃহারা হওয়ার শোক তো দূর অস্ত, বরং কীভাবে মায়ের সম্পত্তির ভাগ হবে, তাই নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন তিন মহিলা। ঘটনাটি কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠেছে মথুরার মাসানিতে। 

জানা গিয়েছে, ৮৫ বছরের পুষ্প দেবীর মৃত্যুর হয়। দেহ শ্মশানে অন্তিম ক্রিয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়। সেই সময়েই তাঁর জমির উত্তরাধিকার নিয়ে তিন মেয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে এভাবেই ঝগড়া চলতে থাকে। হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন শ্মশানের কর্মীরা। 

যে পণ্ডিত তাঁদের সঙ্গে শ্মশানে শেষকৃত্য করাতে এসেছিলেন, তিনিও বিরক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যান। এভাবেই শ্মশানেই কয়েক ঘণ্টা ধরে তিন কন্যার বিবাদ চলতে থাকে। শেষ যাত্রায় আসা স্থানীয় ও অন্য আত্মীয়রা গোটা বিষয়টিতে হতভম্ব হয়ে যান। পরে স্ট্যাম্প পেপার এনে জমির লিখিত বন্টন করা হয়। তারপরেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 

সূত্রের খবর, বৃদ্ধার তিন মেয়েই ছিল। কোনও ছেলে ছিল না। তিন মেয়ের নাম মিথিলেশ, সুনীতা ও শশী। গত কয়েকদিন ধরে বড় মেয়ে মিথিলেশের (যমুনাপাড়া থানার লোহাবন গ্রাম) বাড়িতেই থাকছিলেন পুষ্প। বাকি দুই মেয়ের দাবি, মাকে মিথিলেশ প্রায় দেড় বিঘা জমি বিক্রি করতে রাজি করিয়েছিলেন। 

রবিবার সকালে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এরপর মিথিলেশের পরিবার দেহ শেষকৃত্যের জন্য মাসানির মোক্ষধামে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আসেন বাকি দুই মেয়েও। তাঁরা এসেই শেষকৃত্য বন্ধ করিয়ে দেন। তারপর দুই বোনের সঙ্গে মিথিলেশের বচসা শুরু হয়। 

ঝগড়া তুঙ্গে উঠলে শ্মশানের কর্মীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ সময় ধরে তিন বোনকে বোঝানোর চেষ্টা করে। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিন বোনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত লিখিত চুক্তি হয়। তাতে লেখা ছিল, মৃতের অবশিষ্ট সম্পত্তি শশী ও সুনীতার নামে হস্তান্তর করা হবে। এরপরেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 

Advertisement

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement