Advertisement

Acid attack on Delhi teen:দিল্লিতে কিশোরীর মুখে ছোড়া অ্যাসিড কেনা হয় Flipkart-এ, চাঞ্চল্যকর তথ্য

ফ্লিপকার্টে কেনা ওই অ্যাসিড কতটা মারাত্মক ছিল, তা জানতে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে। আহত ছাত্রীর বাবার দাবি, তাঁর মেয়ের উপরে এক ধরনের রাসায়নিক ছোড়া হয়েছে। যা তার চোখে ঢুকে গিয়েছে।

acidacid
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 15 Dec 2022,
  • अपडेटेड 2:48 PM IST
  • বুধবার স্কুল যাওয়ার পথে দিল্লিতে (Delhi) অ্যাসিড হামলার (Acid Attack) শিকার হয়েছিল ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী।
  • এই পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার স্কুল যাওয়ার পথে দিল্লিতে (Delhi) অ্যাসিড হামলার (Acid Attack) শিকার হয়েছিল ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী। এই পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা জানা গেছে,  কোনও দোকান থেকে নয়, ফ্লিপকার্টে (Flipkart) অর্ডার দিয়ে অনলাইনে অ্যাসিড কিনেছিল হামলাকারীরা।

ঘটনার পুরো ভিডিও ধরা পড়েছে রাস্তার ধারে লাগানো সিসি ক্যামেরায়। সেই ফুটেজ দেখেই ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা। ধৃতদের বয়স ১৯-২১ বছর। ফুটেজে দেখা গেছে, রাস্তা দিয়ে হাঁটছে দুই কিশোরী। হঠাৎ বাইকে করে দু’জন সেখানে আসে। এরপর চলন্ত বাইক থেকেই কিশোরীর মুখে তরলজাতীয় কিছু একটা ছুড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। যন্ত্রণায় সেখানেই কাতরাতে কাতরাতে মাটিতে বসে পড়ে ওই কিশোরী। পরে দেখা যায়, স্থানীয়রা ছুটে এসে মুখ ধুইয়ে দিচ্ছেন তার। আক্রান্ত ওই স্কুলছাত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল।

আরও পড়ুন

অভিযুক্তদের ব্যবহৃত বাইকটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত সচিন অরোরা। যার সঙ্গে আক্রান্ত কিশোরীর প্রেম ছিল। কিন্তু মাস তিনেক আক্রান্ত কিশোরী সম্পর্ক চালিয়ে যেতে রাজি ছিল না। তাই বিচ্ছেদ করে। সেই আক্রোশেই তার ওপর হামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শচীনের সঙ্গে অ্যাসিড হামলার পরিকল্পনা করেছিল হর্ষিত ও বীরেন্দ্র। 

ফ্লিপকার্টে কেনা ওই অ্যাসিড কতটা মারাত্মক ছিল, তা জানতে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে। আহত ছাত্রীর বাবার দাবি, তাঁর মেয়ের উপরে এক ধরনের রাসায়নিক ছোড়া হয়েছে। যা তার  চোখে ঢুকে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘১৭ ও ১৩ বছরের আমার দু’মেয়ে মেট্রোয় স্কুলে যায়। আজ (বুধবার) সকালেও স্কুলে যাওয়ার জন্য একসঙ্গে বেরিয়েছিল ওরা। হঠাৎই দু’জন বাইকে করে এসে বড় মেয়ের দিকে অ্যাসিড ছুড়ে মেরে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ওই আরোহীদের মুখ ঢাকা ছিল।’ 

Advertisement

হামলার পর যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেন ওই স্কুলছাত্রী। সেখানে জল দিয়ে তাঁর চোখমুখ ধুয়ে দেওয়া হয়। এরপর সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত ছাত্রীকে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক বিএল শেরওয়াল জানিয়েছেন, ছাত্রীর মুখের ৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement