কৃষক আন্দোলনে ২৬ জানুয়ারি এক অন্যরকম সাধারণতন্ত্র দেখল রাজধানীর মানুষ। রণক্ষেত্র রাজধানীর রাজপথ। পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লির একাংশে বন্ধ করে দেওয়া হল ইন্টারনেট পরিষেবা। আংশিক বন্ধ করা হল মেট্রো পরিষেবাও। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন প্রায় ৫ কোটি নেট ব্যবহারকারী।
‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ’ কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সেটাই দেখল দিল্লি। দুপুরের পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নিজের বাসভবনে বিশেষ বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ২৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে এনসিআর এলাকায়। দিল্লির যে অংশে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সেই সব অঞ্চলেই ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সরকারি নির্দেশ অনুসারে, সাময়িকভাবে সিঙ্ঘু, গাজীপুর, টিকরি, মুকারবা চক, নাঙ্গলই ও সংগগ্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে।নিরাপত্তা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই ইন্টারনেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে দিল্লি সীমানায় ইন্টারনেট বন্ধের কথা ঘোষণা করা হলেও পুরো রাজধানীর মানুষকেই নেটহীন দিন কাটাতে হয়।
ট্রাইয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দিল্লিতে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি। যা মুম্বই, কেরল, পঞ্জাব এবং ওড়িশার পর দেশের ১২ তম ওয়ারলেস মার্কেট হিসাবে বিবেচিত। এদিকে টেলিকম মন্ত্রকের এক মুখপাত্রের মতে, ইন্টারনেট শাটডাউন অর্ডার আইন শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক আহ্বান করা হয়েছে, মন্ত্রক দ্বারা নয়। কৃষকরা যেসব এলাকায় বিক্ষোভ দেখান, সেখানকার বাসিন্দদের দাবি, এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে বলে তাঁরা এসএমএস পেয়েছেন। জানানো হয়েছে, ফের সরকারি নির্দেশ এলে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে।