এ বার গলায় অলঙ্কার হিসাবে শোভা পাবে অযোধ্যার রাম মন্দির। নতুন বছরের প্রথম মাসের শেষেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যার বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এই আবহে রাম মন্দির ঘিরে জনমানসে ক্রমেই বাড়ছে আগ্রহ। রাম মন্দিরের আদলে এ বার নেকলেস তৈরি করা হল মোদীরাজ্যে। গুজরাটের সুরাটের এক হিরে ব্যবসায়ী এই নেকলেস বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন।
৫ হাজার আমেরিকান হিরে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই নেকলেস। নাম রাখা রয়েছে রাম মন্দির নেকলেস। হিরের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে ২ কেজি রুপো। রাম মন্দিরের আদলে তৈরি এই নেকলেস ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০ জন কারিগর মিলে এই নেকলেস তৈরি করেছেন। নেকলেসটি বানাতে সময় লেগেছে ৩৫ দিন। এই নেকলেসের দাম কত, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাম মন্দিরের উদ্বোধন রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। এই মন্দিরের উদ্বোধনকে সামনে রেখেই ২০২৪ সালের নির্বাচনে লড়তে চলেছে পদ্ম শিবির, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অন্য দিকে, অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে জুড়ছে দুই বাঙালি প্রতিমা শিল্পীর নাম। দুই মুসলিম প্রতিমা শিল্পীর হাতে তৈরি রামের মূর্তি শোভা পাবে অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বরে। যা এক সম্প্রীতির বার্তা বহন করছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দুই মুসলিম প্রতিমা শিল্পীর হাতে তৈরি হয়েছে বিশালাকার রামের মূর্তি। মহম্মদ জামালউদ্দিন এবং তাঁর পুত্র বিট্টু এই মূর্তি বানিয়েছেন। তাঁদের তৈরি মূর্তি উদ্বোধনের দিন রাম মন্দির প্রাঙ্গণে শোভা পাবে। কী ভাবে মূর্তি বানানোর বরাত পেলেন তাঁরা? এই কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ। জামালউদ্দিনদের কাজ অনলাইনে দেখেন রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। তার পরেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মূর্তি বানানোর বরাত দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে জামালউদ্দিন বলেছেন, 'ধর্ম যে যাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বাস। আমাদের সকলকে এক সঙ্গে থাকতে হবে। ভগবান রামে মূর্তি বানাতে পেরে খুবই খুশি। এক জন শিল্পী হিসাবে এটা আমার তরফ থেকে সম্প্রীতির বার্তা।' এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'শুধু রাম নয়, মা দুর্গা, জগদ্ধাত্রীর মূর্তি বানিয়েও জনপ্রিয়তা পেয়েছি।' বহু বছর ধরেই হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করছেন তিনি।