সম্প্রতি সাংগঠনিক স্তরে ব্যাপক রদবদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সাংগঠনিক ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পদন্নোতি। যুব সংগঠনের নেতা থেকে সরাসরি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দলের ছোট থেকে বড়, সমস্ত নেতা কর্মী সমর্থকেরা। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাংগঠনিক পদন্নোতিকে ঘিরে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলছেন বিরোধীদের কেউ কেউ।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও লাগাতার নিশানা করে গিয়েছে বিজেপি (BJP) সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামিদিনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করতে থাকেন কোনও কোনও বিরোধী নেতা। কেউ কেউ বলতে থাকেন, তৃণমূল কংগ্রেস বর্তমানে 'পিসি-ভাইপোর প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি'তে পরিণত হয়েছে। কোনও কোনও বিরোধী নেতা আবার বলেন, তৃণমূলে বর্তমানে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণ নেই। দল চলছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। যদিও বিরোধীদের সেই সমস্ত অভিযোগ বারেবারেই খারিজ করে এসেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এবারের এই রদবদলে অভিষেক সর্বভারতীয় পদ পাওয়ায় ফের একবার সেই পরিবারতন্ত্র তথা স্বজনপোষণের অভিযোগই তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীদের একাংশ।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর দলের রাশ কে ধরবেন, সেই প্রশ্বের উত্তরেও বারেবারেই উঠে এসেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এমনকী কারও নাম স্পষ্ট করে না বললেও তৃণমূলের আগামী কয়েক প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরি আছে বলে বেশ কয়েকবার বলতে শোনা গিয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আর এবার দেখা গেল সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো দলের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতাদের পরিবর্তে সর্বভারতীয় স্তরে অভিষেকের ওপরেই ভরসা রাখলেন মমতা। দায়িত্ব পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মানুষের ভালবাসা ও ভরসাকে মর্যাদা দিতে তিনি বদ্ধ পরিকর। দলের অভিজ্ঞ নেতাদের সুচিন্তিত পরামর্শই আগামিদিনে তাঁকে পথ দেখাবে বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। কিন্তু অভিষেক সোশ্যাল সাইটে এই কথা বললেও পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ থেকে কিন্তু সরছেন না বিরোধীরা।