Public Rushing Towards Jewellary House With 2000 Notes: ভারত সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০০০ টাকার নোট এখন ব্যান করে দিয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যার কাছে এই ২০০০ টাকার নোট রয়েছে, তাঁরা ব্যাংকে জমা করে টাকা বদলে ক্ষুদ্র টাকা নিয়ে নিতে পারবেন। ততদিন পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট বাজারে চলবে। ভারত সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্তর পর যে সমস্ত লোকেদের কাছে ২০০০ টাকার নোট আছে, তাঁরা সেগুলি নিয়ে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। এরই মধ্যে এই সিদ্ধান্তের পরে যে সমস্ত লোকেদের কাছে ২০০০ টাকার নোট রয়েছে, তাঁরা তা নিয়ে সোনার দোকানে হামলে পড়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ২০০০ টাকার নোট বদলাতে হলে মানতেই হবে এই নিয়ম, SBI-এর নয়া নির্দেশ
আরও পড়ুনঃ ভারতে প্রথম কত টাকার নোট ছাপা হয়েছিল? জানেন কবে সরল কিং জর্জের মুখ
গুজরাটে সোনার দাম বাড়েনি
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০০০ টাকার নোটের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর আরবিআই নোটিফিকেশনের পরে গুজরাটে সোনা দাম বেড়ে যাওয়ার গুজব ছড়িয়েছে। জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, এমন খবর ঠিক নয়। তবে এটা ঠিক, লোকেদের মধ্যে এই সন্দেহ ও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, ২০০০ টাকার নোট দিয়ে কেনা যাবে কিনা।
আমেদাবাদ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংযুক্ত সচিব আসিস জাভেরি বলেছেন যে লোকেদের চিন্তার কোন কারণ নেই। তাঁরা খুব সহজেই কেনাকাটা করতে পারবেন। ২০০০ টাকার নোট ও নির্দ্বিধায় গ্রহণ করা হচ্ছে। একাধিক বড় জুয়েলারির তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার করা হচ্ছে যে তারা কোনও এক্সট্রা প্রিমিয়াম নিচ্ছেন না এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট এর দামে সোনা বিক্রি করা হচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের সংযুক্ত সচিব দাবি করেছেন যে বাজারে মূল্য থেকে বেশি প্রিমিয়াম নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই যদি এমন হয় তাহলে তা বেআইনি হবে। যাঁরাই সোনা কিনতে চাইছেন, তাঁরা একইভাবেই একই মূল্যে ২০০০ টাকার নোটেও সোনা কিনতে পারবেন।
দিল্লির বাজারে সোনা কেনার ভিড়
অন্যদিকে রাজধানী দিল্লিতে ২০০০ টাকার নোট বন্ধ হওয়ার খবর আসার সঙ্গে সঙ্গেই সোনার বাজারে খুব দ্রুত গতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ব্যাংকে ২০০০ টাকার নোট জমা করার থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই সোনা কিনতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু কিনতে পারছেন না। আসলে দিল্লির সবচেয়ে বড় সরোফা বাজার কুচা মহাজনি ধুলিয়ান মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি জানিয়েছেন, ২০০০ টাকার নোট বন্ধ হওয়ার খবরে সবাই ওই টাকা ব্যবহার করে সোনা কিনতে চাইছেন। কিন্তু আমরা এত সোনা বিক্রি করতে পারব না। কারণ আমাদের কাছে ২০০০ টাকার নোট গ্রহণ করার একটা সীমা রয়েছে। যদিও এটা অবশ্যই ঠিক যে মার্কেটে ছয় মাস পুরনো ডিউ, পেমেন্ট হতে শুরু হয়ে গিয়েছে।
কলকাতায় কী পরিস্থিতি?
কলকাতার ব্যবসায়ীরা ২০০০ টাকার নোট নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও গ্রাহকদের কোনও রকম চাঞ্চল্য অবশ্য দেখা যায়নি। বেশিরভাগ গ্রাহকেরা বলছেন যে ২০০০ টাকার নোট বদলে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় রয়েছে। সঙ্গে তাঁদের কাছে ২০০০ টাকার নোট খুব বেশি নেই। যদিও কলকাতার ব্যস্ত পেট্রোল পাম্পে দেখা গিয়েছে যে গাড়ি মালিকেরা পেট্রোল কেনার জন্য ২০০০ টাকার নোট ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। যাঁরা অনলাইনে ভরাতেন তাঁরাও ২০০০ টাকার নোট ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছেন।
মুম্বইয়ের পরিস্থিতি
মুম্বাইয়ের নাকুরা জুয়েলার্স এর মালিক কমলেশ সান্ধবী বলেছেন যে কিছু বিষয়ে প্যানিক তো অবশ্যই রয়েছে। তিনি বলেন, যে গ্রাহকদের এজন্য ধোঁকা দিয়ে সোনার দাম বাড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়। তবে সমস্যা কিছু হচ্ছে না।