আজ থেকে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার কথা জানাতে ঘরে ঘরে অক্ষত আমন্ত্রণ অর্থাৎ পুজো করা অখণ্ড চাল দিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর কাজ শুরু হল। রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে মানুষকে জানানো হবে। তাঁকে পুজো দেওয়া অখণ্ড চাল দিয়েই জানানো হবে এই আমন্ত্রণ। অক্ষত দিয়ে বলা হবে, নিজের এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে এবং সন্ধ্যায় দীপাবলি উদযাপন করতে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এই সম্পর্ক অভিযানে, অক্ষতের মাধ্যমে সারা দেশের ৫ লক্ষ গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অক্ষত আমন্ত্রণের সঙ্গে রাম মন্দিরের ছবি এবং লিফলেট বিতরণ করা হবে
২২ জানুয়ারি, ২০২৪-এ অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে তৈরি হওয়া বিশাল মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। এর জন্য আজ থেকে দেশজুড়ে অক্ষত আমন্ত্রণ বিতরণের কাজ শুরু হবে। মন্দিরের অক্ষত আমন্ত্রণের জন্য সংঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকর্তারা আজ থেকে 'পূজিত অক্ষত', রামের ছবি এবং লিফলেট নিয়ে ঘরে ঘরে যাবে। সারা দেশে এই ধরনের দল গঠন করা হয়েছে। দেশের ৫ লক্ষ গ্রামে যাওয়া হবে।মানুষকে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ 'লিফলেট' ছাপানো হয়েছে। যাতে আবেদন করা হয়েছে যে, মানুষ যেন অযোধ্যায় আসেন।
রামমন্দির প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের তথ্য জানাতে দরজায় দরজায় যাবেন কর্মীরা। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন কী করবেন সেই তথ্যও দেওয়া আছে লিফলেটে। বিলি করা লিফলেটে বলা হয়েছে, জনগণ যেন পরে স্থান পরিদর্শন করেন। সেই দিন তাদের বাড়ির কাছে মন্দিরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করুন। দলবদ্ধভাবে ভজন কীর্তন বা হনুমান চালিসা পাঠ করুন। সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে দীপাবলি উদযাপন করুন। সন্ধ্যায় প্রতিটি বাড়িতে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠান উদযাপন করুন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্প্রতি অযোধ্যা সফরে গিয়ে ওই দিন দীপাবলি উদযাপনের জন্য জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।সংঘের পশ্চিমাঞ্চলীয় দফতরের কার্যকর্তা সন্দীপ বলেন, 'মানুষের ওই দিন অযোধ্যায় পৌঁছানো উচিত নয়, পরে গিয়ে দর্শন করা উচিত। এই বিষয়ে আবেদন করা হবে।'
দেশ জুড়ে সংঘ এবং ভিএইচপি গোষ্ঠী গঠিত
সারাদেশে অক্ষত আমন্ত্রণ বিতরণের দায়িত্ব নেবেন সংঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা। এর জন্য বিভিন্ন দল গঠন করা হয়েছে। ব্লক স্তরে এই দলগুলি গঠন করা হয়েছে। এর জন্য অক্ষত পুজোর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংঘের সাংগঠনিক দিক থেকে গঠিত প্রদেশে অক্ষত পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রচুর পরিমাণে নতুন প্যাকেট তৈরি করা হয়েছে। সেগুলো জেলা অফিসে পাঠানো হচ্ছে। তারপর ব্লক অফিসে। সেখান থেকে কার্যকর্তারা ঘরে ঘরে গিয়ে তা বিতরণ করবেন। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে প্রায় ৭ লক্ষ বাড়িতে অক্ষত আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য স্থানীয় মানুষ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমর্থনও নেবে সংঘ এবং ভিএইচপি। প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে পুজো করা এই চাল।