রবিবারের সকালটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল উত্তরখন্ডের চামোলিতে। হিমবাহ ভেঙে আচমকাই বেড়ে যায় নদির জলস্রোত। দেখতে দেখতে ভেঙে পড়ে প্রচুর বাড়ি। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। চলছে উদ্ধার কাজ। একযোগে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে আইটিবিপি, সেনা, এয়ারফোর্স।
১৪ জনের দেহ উদ্ধার।
রবিবার গভীর রাতে এমএইচএ জানায়, এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার করা গিয়েছে ১৫ জনকে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হিমবাহ ভাঙার পর স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে পিডব্লুডির পাঁচটি পুলও ভেসে গিয়েছে।
দেরাদুন পৌঁছাল বিশেষ উদ্ধারকারী দল
ঘটনায় দিল্লি থেকে বিশেষ উদ্ধারকারী দলকে তড়িঘরি দিল্লি নিয়ে দেরাদুন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যাতেই তারা পৌঁছে যায় দেরাদুনে। আজ থেকেই উদ্ধার কাজে যুক্ত বিশেষ দলের সদস্যরা।
DRDO-র দল যাচ্ছে উত্তরাখন্ড
আজই উত্তরাখন্ডে পৌঁছানোর কথা DRDO-র একটি বিশেষজ্ঞ দলের। DRDO-র দল ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখবে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী হিমবাহগুলিও পরীক্ষা করে দেখবেন দলের সদস্যরা।
আনা হয়েছে প্রয়োজনীয় মেশিন
ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে আনা হয়েছে নির্দিষ্ট মেশিন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে আইটিবিপির কর্মীরা।
জল ছাড়ার নির্দেশ
বেশি রাতের দিকে অলকানন্দায় জলস্তর বৃদ্ধির খবর পাওয়া যায়। যার জেরে জল ছাড়ার নির্দেশ দেন ডিএম। যদিও জল ছাড়া হয়েছে কি না তা এখনও সরকারি ভাবে জানা যায়নি।
১৫০ মিটার খননকার্য
উত্তরাখন্ড পুলিশ জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সুড়ঙ্গে দেড়শো মিটার ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ হয়েছে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে উদ্ধারকার্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। পুলিশ জানাচ্ছে, কারা নিখোঁজ রয়েছেন সেবিষয়ে আজই স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত এই ঘটনার জেরে ঋষিগঙ্গা প্রাওয়ার প্রজেক্ট এবং এনটিপিসির প্রজেক্টের বড়সর ক্ষতি হয়েছে। এই সমস্ত প্রকল্পে কর্মরত কমপক্ষে ১০০ জন নিখোঁজ বলে জানা যাচ্ছে।
ঋষিগঙ্গা প্রকল্প ধ্বংস
ভারতীয় বায়ুসেনার রিপোর্ট অনুযায়ী ধৌলি গঙ্গা ও ঋষি গঙ্গার সঙ্গমস্থলে তৈরি হওয়া তপোবন জলবিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে সংলগ্ন ২টি পুলও।
বাড়ছে জলস্তর
SDRF-এর তথ্য অনুযায়ী অলকানন্দার জলস্তর বাড়ছে। নদীর আশেপাশের এলাকায় পুলিশের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
NTPC সুড়ঙ্গে থমকে উদ্ধারকাজ
রবিবার NTPC-র ৯০০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় উদ্ধারকাজ। উত্তারখন্ডের ডিজিপি অশোক কুমার জানাচ্ছেন, জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ রাখতে হয় উদ্ধারকাজ।
হেলিকপটার থেকে ত্রাণ
ঘটনায় যে ১৩টি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সেই সমস্ত জায়াগয় হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণ পৌঁছান হবে বলে জানা গেছে। যুদ্ধকালিন তৎপরতায় চলছে ত্রাণ সংক্রান্ত কাজ।