হাথরস মামলা কি পাঠান হবে এলাহাবাদ হাইকোর্টে! অবশেষে এই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। উত্তরপ্রদেশ হাথরস গণধর্ষণ মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানেই চলবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তার সিদ্ধান্তে বলেছে যে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা অর্থাৎ সিবিআই আদালতকে তদন্তের প্রতিটি বিষয়ের গতিপ্রকৃতি নিয়ে জানাবে। মামলাটি উত্তরপ্রদেশ থেকে স্থানান্তর করার আবেদনের বিষয়ে আদালত বলেছে,তদন্ত প্রথমে শেষ হবে। তারপরেই মামলাটি স্থানান্তরিত হবে কি না তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হাথরসকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, মামলা সরাতে হবে উত্তরপ্রদেশ থেকে। অন্যদিকে, সিবিআই তদন্তে আপত্তি জানিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ওইসব আবেদন বলা হয়েছে, তদন্ত হোক আদালতের নজরদারিতেই। ফলে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে গুরুত্বপূর্ণ দু'টি বিষয়ে রায় দিতে চলেছে তা আগে থেকেই স্থির ছিল। সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট হাথরস গণধর্ষণ মামলার রায় দেয়। সেখানেই শীর্ষ আদালত রাজ্যের বাইরে মামলাটি সরিয়ে দিতে অস্বীকার করে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট বলে, মামলার তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, রাজ্যের বাইরে বিচার প্রক্রিয়া স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট তার সিদ্ধান্তে বলেছে, সিবিআই বর্তমানে এই মামলাটির তদন্ত করছে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে বদলির দরকার নেই। হাইকোর্টও অন্য সব কিছুর দিকে নজর রাখছে। সুপ্রিম কোর্ট শুনানির সময় উত্তরপ্রদশে সরকার প্রদত্ত হলফনামা গ্রহণ করে। যেখানে যোগী সরকার দাবি করেছে, নিগৃহীতার পরিবার ও মামলার সাথে সম্পর্কিত সাক্ষীদের পরিবারকে শক্তিশালী সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, হলফনামায় মামলাটি সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তরের দাবি ছিল।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের তদারকিতেই তদন্ত চলবে, এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারির প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মুহুর্তে বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে, এই প্রাথমিক পর্যায়ে ট্রায়াল দিল্লি বা অন্য কোথাও স্থানান্তর করা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলতি তরুণীকে গণধর্ষণ করে উচ্চবণের ৪ যুবক। হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঝামেলা এড়াতে দেহ পরিবারের হাতে না তুলে রাতের অন্ধকারেই দাহ করে দেয়। এই নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। বিষয়টি হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিগৃহীতার পরিবারকে উপযুক্ত সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনার তদন্তে প্রথমে রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। পরে মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে স্থানান্তরিত করা হয়।