তৃণমূল কংগ্রেস ও CPIM-কে একযোগে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। CPIM-এর বিরোধিতা করতে গিয়েই জন্ম তৃণমূলের। তাহলে তারা এখন জোট করছে কেন ? সংসদে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন শাহর। যা নিয়ে তুমিল হট্টগোল হয় রাজ্যসভায়। তৃণমূল সাংসদরা এর প্রতিবাদ করেন। তাঁরা I.N.D.I.A স্লোগান দিতে শুরু করেন। পাল্টা মোদী মোদী স্লোগান ওঠে রাজ্যসভায়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার রাজ্যসভায় দিল্লি পরিষেবা বিল পেশ করছেন। এই বিল লোকসভায় পাস হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দল তাদের সংসদ সদস্যদের উপর এই বিল নিয়ে হুইপ জারি করে। তাদের সংসদে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। আম আদমি পার্টির এই বিলটিতে ২৬টি বিরোধী দলের সমর্থন রয়েছে। এছাড়াও, তেলাঙ্গানার ক্ষমতাসীন BRSO তার সাংসদদের বিলের বিরোধিতা করতে বলেছে।
সেই বিল পেশ করার সময় বিরোধী দলের সাংসদরা তীব্র বিরোধিতা শুরু করেন। হইহট্টোগোল শুরু হয়। তখনই তৃণমূল ও বামেদের একযোগে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, 'আমাদের বিল নিয়ে এত প্রশ্ন হচ্ছে। আমাকে একবার বলুন তো যে, কোন সিদ্ধান্তের উপর তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেরা জোট করেছে। গোটা জীবন তৃণমূল কংগ্রেস কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধিতা করেছে। তাদের জন্মই হয়েছে কমিউনিস্টদের বিরোধিতা করে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আলাদা হয়ে গেছিল কারণ, নরসিমা রাওয়ের সরকার কমিউনিস্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। আর আজ সেই তৃণমূল ওদের হাত ধরেছে। ওদের লক্ষ্য সরকার দখল করা। সেটা হবে না। মোদী ক্ষমতায় আসবে। আর কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টি একে অপরের বিরোধিতা করে আর এখানে ইলু ইলু করছে।'
অমিত শাহর আরও কটাক্ষ, 'কংগ্রেস ও বাকিদলগুলো জানে যে, ওদের একার দ্বারা কিছু হবে না। তবে ওরা তো জানে যে, এক হলে কিছু লোক দেখানো কাজ তো করা যাবে। কিন্তু আমি বলতে চাই, ২৪ মে ফের নরেন্দ্র মোদীই প্রধানমন্ত্রী হবেন।'
অমিত শাহ আরও বলেন, 'কমিউনিস্ট দলের দুই সদস্য অভিযোগ করেছেন, আমাদের দলের কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু আমি তাদের প্রশ্ন করতে চাই, যে দলের জন্মই হয় ১৯৫০ সালে তারা স্বাধীনতা আন্দোলনে কীভাবে অংশ নেবে ? কিন্তু আমাদের এমন অনেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন যাঁদের অবদান অনেক। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা বলা যেতে পারে যেমন। আজ পশ্চিমবঙ্গ ভারতে আছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কারণে। আজ কাশ্মীর ভারতে আছে তার কৃতিত্বও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের।'